পোস্তায় ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ।
একটি তিনতলা বাড়ির উপরে নির্মাণকাজ চলার সময়ে বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ায় জখম হলেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পোস্তা থানা এলাকার বড়তলা স্ট্রিটে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ৭২ বড়তলা স্ট্রিটে ওই তিনতলা বাড়িটির ছাদে বেআইনি নির্মাণের কাজ চলছিল। আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ইট এবং চাঙড়। গুরুতর জখম হন দুই স্থানীয় বাসিন্দা কিরণ শর্মা এবং সুভাষকুমার যাদব-সহ পাঁচ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অল্পবিস্তর জখম আরও চার জনকে অবশ্য হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। পরে বাড়িটির বেআইনি অংশ ভেঙে দেন পুরকর্মীরা।
এ দিন ওই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, বড়বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বেআইনি নির্মাণ বাড়লেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাঁরা জানিয়েছেন, ভেঙে পড়া বাড়িটি বাণিজ্যিক ও বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাড়ির একতলা ও দোতলায় মালিকের দোকান রয়েছে। তিনি থাকেন উল্টোডাঙায়। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ শর্মার অভিযোগ, ‘‘বাড়িটি প্রায় একশো বছরের পুরনো। এটির সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে কয়েক মাস আগে মালিককে বলেছিলাম। তিনি কথায় কান দেননি। উল্টে ১০ দিন ধরে ছাদের উপরে অতিরিক্ত নির্মাণ করছিলেন।’’ পুলিশের তরফে এ দিন বাড়ির মালিক হিম্মত সিং বারমেচার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মালিক অবশ্য ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝার অভিযোগ, ‘‘বেআইনি নির্মাণের খবর পেয়ে পুরসভাকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ যদিও পুরসভার ডিজি, বিল্ডিং (২) দেবাশিস চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘বড়তলা স্ট্রিটে বেআইনি নির্মাণের কোনও অভিযোগ আগে পাইনি। শুক্রবার ঘটনার পরেই পুরসভার তরফে স্টপ ওয়ার্ক নোটিস দেওয়া হয়েছে। বাড়ির বেআইনি অংশটি পুরোটাই ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’ পোস্তা থানার এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, বড়তলা স্ট্রিটে বেআইনি নির্মাণের কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। যদিও এলাকার বাসিন্দা রাহুল পাণ্ডে সাফ বলেন, ‘‘প্রকাশ্য রাস্তার পাশে তিনতলার উপরে অতিরিক্ত নির্মাণের কাজ চলছে আর সেটা পুলিশ-পুরসভা জানে না, এটা হাস্যকর।’’
এ দিন বাড়িটির তিনতলার উপরে উঠে দেখা যায়, ছাদের বিভিন্ন অংশে ফাটল। বাড়িটির দোতলায় ভাড়া থাকেন রাজেশকুমার ভতিকা। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িটি একশো বছরের পুরনো। এটির সংস্কারের ব্যাপারে মালিককে একাধিক বার বলা হয়েছে। এ দিনের ঘটনার পরে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy