এ ভাবেই রাস্তায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। —নিজস্ব চিত্র
মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই পাড়ার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নিল কাশীপুর থানা এলাকার ২২ নম্বর বস্তি। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ রবিবার রাতের গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
কাশীপুর রেলওয়ে সাইডিং-এর পাশেই এই ২২ নম্বর বস্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আয়ুব এবং সেলিম— এই দুই গোষ্ঠীর দু’টি আলাদা আলাদা ক্লাব রয়েছে এলাকায়। ক্লাব দু’টির মধ্যে ঝামেলাও দীর্ঘদিনের। পাশাপাশি এদের মধ্যে রেলওয়ে সাইডিংয়ের মাল তোলা এবং নামানো নিয়ে দীর্ঘদিনের গন্ডগোল। দু’টি দলই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। রবিবার রাতে ওই পাড়ায় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়। সেখানে মত্ত অবস্থায় কয়েকজন যুবক ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। আর তা নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। রাতেই শুরু হয়ে যায় বচসা। সেই বিবাদের জেরে রবিবার রাতেও এক দফা ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি হয় দু’পক্ষের। কিন্তু রাতে বিষয়টি মিটে যায় এলাকার কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যস্থতায়।
এ দিন সকালে ফের দু’পক্ষের দুই যুবকের মধ্যে বচসা শুরু হলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে দু’দল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’দলই একে অপরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট ছুড়তে থাকে। ছোট্ট গলি মুহূর্তের মধ্যে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিবদমান দুই গোষ্ঠীর সবার হাতে ছিল রড, হকি স্টিক, উইকেট। এলোপাথাড়ি ভাঙচুর চালানো হয় এলাকার একাধিক বাড়িতে। গলিতে থাকা বাইক, ট্যাক্সি, গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর হয়।
আরও পডু়ন: মিলন মেলা প্রাঙ্গনের সামনে ‘মা’ উড়ালপুল থেকে যুবক নীচে, থেঁতলে গেল মাথা
আরও পডু়ন: বিদেশে পালাতে পারেন কে ডি সিংহ! তৃণমূল সাংসদের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
খবর যায় চিৎপুর থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চিৎপুর এবং কাশীপুর থানা থেকে বড় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সেলিম আয়ুব এবং দিল্লুকেও।পুলিশ সূত্রে খবর, এদের প্রত্যেকেরই পুরনো অপরাধের রেকর্ড আছে।এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে ফের গন্ডগোল না হয়।’’ অন্যদিকে ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আনোয়ার বলেন, “২২ নম্বর বস্তিতে কয়েকজন সমাজবিরোধী গন্ডগোল করেছে। এরা প্রায়ই ঝামেলা করে। পুলিশকে বার বার বলা হয়েছে। এরা আমাদের দলের কেউ নয়।”
সংঘর্ষে এ ভাবেই ভাঙা হয়েছে একটি গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy