এএফপি-র তোলা ফাইল চিত্র।
তৃণমূল পরিচালিত বাস এবং অটো ইউনিয়নের গোলমালের জেরে রবিবার দিনভর বন্ধ রইল বাবুঘাটা-হাতিয়াড়া ৩০সি এবং ৩০সি/১ রুটের বাস। এর জেরে ভোগান্তির শিকার হলেন অসংখ্য মানুষ।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্ধ্যায়। ভিআইপি রোড থেকে হাতিয়াড়ার রাস্তায় ঢোকার সময়ে ৩০সি রুটের একটি বাস বাগুইআটির মুখে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। কাছেই বাগুইআটি-জগৎপুর রুটের অটোস্ট্যান্ড। পুলিশ সূত্রের খবর, বাস কেন দাঁড়িয়ে, তা নিয়ে এক অটোচালকের সঙ্গে বাসচালক মিজানুর গাজির বচসা হয়। ওই বাসের কন্ডাক্টর প্রভাত মোদকের অভিযোগ, ‘‘রুটের সব বাসই ওখানে ২-৩ মিনিট দাঁড়ায়। অটোচালককে দুর্ব্যবহারের কারণ জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে আমাকে মারে। তার পরে চালকের মুখে ঘুষি মারে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘণ্টাখানেক পরে রুটের অন্য কন্ডাক্টর এবং চালকেরা বাগুইআটি ট্র্যাফিক গার্ডে আসেন। সেই সময়ে ওই অটোচালককে মারধরও করা হয়। বাস ইউনিয়নের বক্তব্য, প্রায় দিন বাগুইআটির মুখে যাত্রী তোলা নিয়ে অটোচালকেরা দুর্ব্যবহার করেন। উল্টো দিকে অটো ইউনিয়নের তরফে প্রসেনজিৎ তরফদার বলেন, ‘‘বাগুইআটির মুখে বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট হয়। শনিবার এ জন্য উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে ঠিকই। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় দফায় ওঁরা অটোচালক ভোলা ভট্ট, দীপক রায় এবং কালুকে মারধর করেন।’’ বাগুইআটির কংগ্রেস নেতা সোমেশ্বর বাগুই বলেন, ‘‘রমজান মাসে বাস বন্ধ থাকায় মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। মহিলারা মালবাহী গাড়িতে চেপে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন।’’ বাস ইউনিয়নের তরফে বিন্দুভূষণ মালাকার বলেন, ‘‘অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য রুটের বাস বন্ধ থাকবে।’’
কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বাস চলাচল শুরু করতে বলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy