আহত ছাত্রী দিশা মালখানডি। —নিজস্ব চিত্র।
সল্টলেকে বাস থেকে পড়ে গিয়ে শুক্রবার জখম হয়েছিলেন এক কলেজছাত্রী। এই ঘটনায় তাঁর বান্ধবীরা অভিযোগ করেন, কন্ডাক্টর ধাক্কা দেওয়াতেই পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রী অবশ্য পুলিশকে জানিয়েছেন, কেউ তাঁকে ধাক্কা দিয়েছেন বলে মনে করতে পারছেন না। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ করা হবে না। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অস্ত্রোপচারের পরে আহত ছাত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল।
সল্টলেকে বাসের নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, সল্টলেকের বাসে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু তুলনায় বাড়েনি বাসের সংখ্যা। মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা নীলাঞ্জন সেন জানান, দিনের ব্যস্ত সময়ে বাসের পাদানি থেকে কার্যত ঝুলে ঝুলেই যেতে হয় অনেককে। আইল্যান্ডে বাস ঘোরার সময়ে নিয়ন্ত্রণ রাখাই মুশকিল হয়।
বরাহনগরের বাসিন্দা শান্তনু বসু বলেন, ‘‘কলকাতায় কন্ডাক্টরেরা বাসের পাদানিতে দাঁড়ালে ভিতরে ওঠার জন্য বলেন। সল্টলেকেও এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না কেন?’’
গড়িয়াবাসী সুমিতা মণ্ডলের অভিযোগ, সল্টলেকে ঢোকার পরে যাত্রী তোলার জন্য গতি বাড়িয়ে দেয় বাসগুলি। রেষারেষিও চলে। কিছু বললে কন্ডাক্টরদের তোপের মুখে পড়তে হয়। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তবেই টনক নড়ে সকলের।
সল্টলেকবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সল্টলেকে অধিকাংশ বাসই পাঁচ নম্বর সেক্টরে যায়। বাকি সল্টলেকের পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। পাঁচ নম্বর সেক্টরমুখী বাসে ভিড়ও থাকে। অটোর উপরেই তাই নির্ভর করতে হয় বেশির ভাগ সময়। বেশি সমস্যা হয় প্রবীণ নাগরিকদের।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, বাসের পাদানিতে লোক দাঁড়িয়ে থাকা, বাসকর্মীদের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা হলে কী ভাবে পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy