প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে লকডাউন চললেও বাহিনীর মানুষ সদস্যদের ছুটি নেই। পথেঘাটে বেরোতেই হচ্ছে উর্দিধারীদের। কিন্তু আমজনতার মতোই আপাতত পাড়া বেড়ানো বা গড়ের মাঠে ছোটাছুটি বন্ধ কলকাতা পুলিশের সারমেয় বাহিনীর। এমনকি, পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের ভিতরেও ‘বন্ধুদের’ একসঙ্গে জড়ো হওয়া নিষেধ। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরে সকালে নিয়ম মেনে পিকু, রোজ়া, শেরি, ভিভাদের শারীরচর্চাটুকুই শুধু বজায় রয়েছে, কিন্তু দিনের বাকি রুটিন একদমই বদলে গিয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতার জন্যই ময়দানে ঘুরতে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে সারমেয় বাহিনী বা ডগ স্কোয়াডের সদস্যদের। পুলিশ ট্রেনিং স্কুল বা পিটিএস-এর ভিতরে প্রশিক্ষণের সময়েও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। হ্যান্ডলারেরা তাই একে অপরের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে থাকছেন। সারমেয় বাহিনীর সব সদস্যকে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। এত দিন বাহিনীর সব সদস্যকে নিয়েই সকাল-বিকেল বিভিন্ন কসরত করানো হত। এখন কয়েকটি দল ভাগ করে তা করানো হচ্ছে। ফলে প্রশিক্ষণের সময়ও কিছুটা কমেছে বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও যাতে চারপেয়ে সদস্যদের ‘ফিটনেস’ বজায় থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের সারমেয় বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪৬। তার মধ্যে রয়েছে কম্যান্ডো বাহিনীর জন্য উপযুক্ত বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া প্রজাতির ‘রোজ়া’। জার্মান শেপার্ড রয়েছে ১৮টি। তাদের মধ্যে ডিঙ্কি, শিসার মতো প্রহরী কুকুর যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে শেরির মতো বিস্ফোরক চিনতে ওস্তাদ কয়েক জনও। এর বাইরে আছে খুদে বিগল প্রজাতির সদস্য পিকু। সঙ্গে ক্ষুরধার বুদ্ধির ল্যাব্রাডরেরাও। এদের প্রত্যেকেরই প্রশিক্ষণ ও কসরতের ধরন আলাদা। সেই রুটিন মেনেই কাজ হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর, সারমেয় বাহিনীর সদস্যদের উপরে নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাদের শুকনো খাবার মজুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হ্যান্ডলারদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। ডগ স্কোয়াডের জায়গা প্রতিদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে বলেও লালবাজার জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy