প্রতীকী ছবি।
বিধাননগর পুর এলাকায় প্রতিদিন সরবরাহ করা জলের এক চতুর্থাংশ কোনও না কোনও ভাবে অপচয় হচ্ছে। ফলে এলাকার কোথাও জল অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে, আবার কোথাও জলের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ খোদ বিধাননগর পুরসভার। কিন্তু এই গরমে কী ভাবে জলের অপচয় কমিয়ে এই সঙ্কট মেটানো সম্ভব, তা জানা নেই পুর কর্তৃপক্ষের।
পুরসভা সূত্রের খবর, টালা-পলতা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ লক্ষ গ্যালন জল সল্টলেকে সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি, মাটির তলা থেকে তোলা হয় আরও ২০ লক্ষ গ্যালন জল। বিধাননগর পুরসভার রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় মাটির তলার জলই সরবরাহ করা হয়। সেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহ করা হয়।
কিন্তু পুরসভা জানাচ্ছে, প্রতিদিন সরবরাহ করা এই জলের এক চতুর্থাংশ (অর্থাৎ প্রায় ২৫ লক্ষ গ্যালন জল) স্থানীয়দের দৈনন্দিন কাজের বাইরে অন্য কাজে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এই গরমে জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে পুর এলাকায়। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘জল অপচয় হচ্ছে সেটা বাস্তব। আমরাও পর্যালোচনা করে দেখছি কী ভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু জলের অপচয় হচ্ছে কী ভাবে? পুর প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছেন, অনুমতি ছাড়াই সাবমার্সেবল পাম্প বসিয়ে অথবা ফেরুল বাড়িয়ে অতিরিক্ত জল অনেকে টেনে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। কিন্তু সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা বা এ সংক্রান্ত নজরদারি চালানোর মতো পরিকাঠামো যে নেই পুরসভার, তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়াও গাড়ি পরিষ্কার, বাগানের জন্য প্রচুর জলের ব্যবহার হচ্ছে সল্টলেকে। ফলে দৈনন্দিন কাজের জন্য জলের অভাব দেখা দিচ্ছে। এর পাশাপাশি এলাকায় স্পা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কারণে জলের ব্যবহার হলেও কোথা থেকে সেই জল আসছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই পুরসভার কাছে। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, গাড়ি ধোয়া থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক কারণে জলের ব্যবহারকে অপচয় বলা যুক্তিসঙ্গত নয়। প্রয়োজনে জলের মিটার চালু করার দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে পুরসভার এক আধিকারিক জানান, নির্বাচনের পরে নজরদারির বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। জলের অপচয় নিয়ে সচেতনতার প্রচার এবং নজরদারি বাড়িয়েই এই সমস্যা মেটাতে হবে বলে জানাচ্ছেন পুরকর্তারা।
তবে ইতিমধ্যেই মাটির তলার জলের ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। রাজ্য সরকার নিউ টাউনে জলপ্রকল্প গড়ে তুলেছেন। সেখান থেকে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা এবং সল্টলেকের জন্য চাহিদা অনুযায়ী জল সরবরাহ করার কাজও চলছে। পুর কর্তাদের আশা, সেই কাজ শেষ হলে মাটির তলার জলের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy