শহরের বুক থেকে সমস্ত হোর্ডিং খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
শহরে যত্রতত্র ছেয়ে রয়েছে ছোট-বড় বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং। কলকাতায় ঘূর্ণিঝড় ফণী ‘ছোবল’ মারার আগেই সেগুলি খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তিনি হকারদেরও অস্থায়ী ছাউনি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পুর স্কুলগুলো বন্ধা রাখার কথাও বলেছেন মেয়র।
বৃহস্পতিবার পুরসভার আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ, সেচ দফতর এবং দমকলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর পর তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “সব রকম পরিস্থিতির জন্যে কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য সরকার তৈরি রয়েছে।”
শুক্রবার ওড়িশায় ফণী আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। ওই দিন রাতেই তার প্রভাব পড়তে পারে এ রাজ্যে। শনি-রবিবার ফণীর দাপটে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলির সঙ্গে কলকাতা লন্ডভন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের আশেপাশে থাকলে সব থেকে চিন্তার কারণ কলকাতার হোর্ডিংগুলি নিয়ে। ঝড়ে হোর্ডিং ভেঙে বিপত্তি ঘটতে পারে। তাই বৃহস্পতিবার থেকেই হোর্ডিং খোলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল পুরসভা। বিজ্ঞাপনদাতাদের ইতিমধ্যে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০৩টি ট্রেন বাতিল, পুরী থেকে পর্যটক ফেরাতে বিশেষ ট্রেন
কলকাতা জলমগ্ন হয়ে গেলে, রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে যাতে বিপদ না ঘটে, সে জন্যে সিইএসসি-কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রাস্তার বিদ্যুতের খুঁটি থেকে অনেকে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ নিয়ে থাকেন। যত দ্রুত সম্ভব সেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পুরকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। ফিরহাদের কথায়, “সব দফতরকে নিয়ে একটি দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হোর্ডিং খুলে ফেলতে বলেছি। যাঁরা পুরনো বাড়িতে থাকেন, এই সময় তাঁরা যাতে অন্যত্র থাকতে পারেন তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি বরোয় স্কুলে থাকা এবং খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: মাত্র ৪০০ কিমি দূরে ফণী, ওড়িশা উপকূল থেকে সরানো হল ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষকে
মেয়র আরও বলেন, “মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হবে। ১৬টি বরোয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাম্পিং স্টেশনগুলিকে সচল রাখতে বলা হয়েছে। পুরকর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।” ফণীর মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যআয়ের নির্দেশে নবান্নেও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব মলয় দে। বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সর্ব ক্ষণের হেল্পলাইন নম্বর চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy