Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাতদিনের ক্লিনিকে চলছে সেবা

ছোট ছোট পরিবারগুলি নিরাপত্তার স্বার্থে এবং একাকিত্ব মেটাতে পোষ্য রাখার দিকে ঝুঁকছে‌। ফলে বাড়ছে ওদের চিকিৎসার চাহিদা। সেই তুলনায় চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়েনি, একটি সাদা রঙের ল্যাব্রাডরের শুশ্রূষা করার ফাঁকে জানালেন এক চিকিৎসক।

শুশ্রূষা: চলছে পোষ্যের চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র

শুশ্রূষা: চলছে পোষ্যের চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র

মেহবুব কাদের চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০২:০৫
Share: Save:

রোগী উপচে পড়ছে ক্লিনিকে। ভিড় সামলে হাসিমুখে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসকেরা। রঙিন রোগীদের সামলাতে এই ক্লিনিকটি খোলা থাকে রাতদিন। তবে চার বছর ধরে চলা ২৪ ঘণ্টার এই ক্লিনিক যে রোগীর ভিড় সামলানোর পক্ষে বেশ ছোট, সেটা মানছেন চিকিৎসকেরা।

কারণ, ছোট ছোট পরিবারগুলি নিরাপত্তার স্বার্থে এবং একাকিত্ব মেটাতে পোষ্য রাখার দিকে ঝুঁকছে‌। ফলে বাড়ছে ওদের চিকিৎসার চাহিদা। সেই তুলনায় চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়েনি, একটি সাদা রঙের ল্যাব্রাডরের শুশ্রূষা করার ফাঁকে জানালেন এক চিকিৎসক। বেলগাছিয়ার প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তখন ওদের ভিড়ে জমজমাট। অ্যালসেশিয়ান, ল্যাব্রাডর, স্পিৎজ, ডোবারম্যান থেকে গোল্ডেন রিট্রিভার বা ড্যাশউন্ড, ওরা সবাই হাজির ডাক্তার দেখাতে।

১৮৯৪ সালে বেঙ্গল ভেটেরিনারি কলেজ নামে এর সূচনা। ১৯৯৫ সাল থেকে নতুন নামকরণ হয়েছে প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটিশ আমল থেকেই প্রাণীদের চিকিৎসার স্বার্থে বেঙ্গল ভেটেরিনারি কলেজের অধীনে একটি ক্লিনিক চালু হয়েছিল। সেটি আজও রয়েছে। আগে সকাল দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকত ক্লিনিক। বর্তমান উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সাল থেকে রাতদিন ক্লিনিকটি চালু থাকে।

কলকাতা, শহরতলি ছাড়া দূর থেকে অনেকেই পোষ্যের জটিল চিকিৎসায় বেলগাছিয়ায় ছুটে আসেন। জঙ্গিপুরের বাসিন্দা এক জন সাদা ল্যাব্রাডরকে গাড়িতে চাপিয়ে সটান হাজির হয়েছিলেন বেলগাছিয়ায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কুকুরের ফুসফুসের সমস্যা। জেলায় বহু ডাক্তার দেখিয়েও কাজ হয়নি। অথচ এখানে আসতেই এক্স-রে করে ডাক্তারবাবুরা ওষুধ লিখে দিলেন।’’

পোষ্যদের ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলেও বাড়ির লোকেরা যে কোনও সময়ে তাদের বেলগাছিয়ায় নিয়ে আসতে পারেন। উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘বর্তমানে ক্লিনিকে পোষ্যের টিকাদান, কঠিন রোগের চিকিৎসা হয়।’’ তবে ওদের সংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে এই ব্যবস্থা যে যথেষ্ট নয়, মানছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওদের জন্য সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে আগেই। রোগী রেখে চিকিৎসা এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরাক্ষার ব্যবস্থা চালু হবে। তাতে সকলেই উপকৃত হবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE