Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বসবে ই-টয়লেট, ব্যবহার জানা নেই অনেকেরই

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, রবীন্দ্র সরোবরে অনেক দিন আগেই পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো হয়েছে ই-টয়লেট। শহরে কেএমডিএ-র বিভিন্ন পার্কে আরও ই-টয়লেট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিভিন্ন পার্কে এমনই ই-টয়লেট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিভিন্ন পার্কে এমনই ই-টয়লেট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৪
Share: Save:

কলকাতায় কেএমডিএ-র বিভিন্ন পার্কে ই-টয়লেট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তার ব্যবহার জানা নেই অনেকেরই। সে ক্ষেত্রে এলাকা পরিষ্কার রাখা তো দূর, ঠিক ভাবে ওই শৌচালয় ব্যবহার না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেও আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি রবীন্দ্র সরোবরে পাইলট প্রকল্প হিসেবে একটি ই-টয়লেট পরীক্ষামূলক ভাবে বসানোর পরেই অসুবিধাগুলি ধরা পড়েছে। তার পরেই ই-টয়লেট নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ওই শৌচালয়ের গায়ে নির্দেশাবলী লিখে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া, নিরাপত্তাকর্মীরা থাকছেন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, রবীন্দ্র সরোবরে অনেক দিন আগেই পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো হয়েছে ই-টয়লেট। শহরে কেএমডিএ-র বিভিন্ন পার্কে আরও ই-টয়লেট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে কাজ এগোয়নি। ওই আধিকারিক জানান, রবীন্দ্র সরোবরে একটি বেসরকারি সংস্থা ওই ই-টয়লেট বসিয়েছে। এ ছাড়া, পাটুলি, বালিগঞ্জ-সহ বিভিন্ন ছোটখাটো পার্কেও ই-টয়লেট বসানো হবে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি।

ওই আধিকারিকের অভিযোগ, রবীন্দ্র সরোবরে ওই শৌচালয় ব্যবহার করতে গিয়ে প্রথমে অসুবিধায় পড়েছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। কারণ, ওই শৌচালয় কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা তাঁদের জানা ছিল না। তাঁদের একাংশ কর্তৃপক্ষের কাছে ই-টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা জানাতে আবেদন করেন। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, পার্ক ও রাস্তা পরিষ্কার রাখতে বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও ব্যবহার না জানার ফলে ওই বায়ো টয়লেটের পরিকল্পনা সর্বত্র সফল হয়নি। এই কারণে কলকাতা পুরসভাও শহরের বিভিন্ন বড় উৎসব বা অনুষ্ঠানে বায়ো টয়লেট বসানো অনেক দিন আগে বন্ধ করে দিয়েছে।

ই-টয়লেট কী?

এই ধরনের শৌচালয় চলে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে। এটি ব্যবহারের জন্য জন প্রতি পাঁচ টাকা করে নির্দিষ্ট কাউন্টারে ফেলতে হয়। তার পরেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে শৌচালয়টি খুলে যায়। শৌচালয় ব্যবহারের পরে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সেটির সাফাই হয়ে যায়। কেএমডিএ যে সংস্থার মাধ্যমে ই-টয়লেট বসিয়েছে, সেটির কর্ণধার সুদীপ সেন বলেন, ‘‘এই ধরনের শৌচালয় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎচালিত। ই-টয়লেটে এমন আধুনিক ব্যবস্থা থাকে, যাতে

সেটির নোংরা জল বা বর্জ্য পরিবেশকে দূষিত করতে না পারে। বর্জ্য জল দূষণমুক্ত করেই তা বাইরের পরিবেশে যায়। এই শৌচালয় পরিষ্কার করার জন্য কর্মীরও প্রয়োজন হয় না। স্বয়ংক্রিয় ভাবেই তা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Environment E-Toilet KMDA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE