ফুটপাতে ধস নামার পরে ঘটনাস্থলে দমকল।—ফাইল চিত্র
সিইএসসি-র বিদ্যুতের তার দীর্ঘদিন ধরে পুড়ে দাহ্য গ্যাস জমা হয়েছিল ফুটপাতের নীচের বৈদ্যুতিক চেম্বারে। সেই গ্যাস কোনও ভাবে তারের প্রবেশপথ দিয়ে ফুটপাতের অন্য দিকে থাকা চৌবাচ্চায় জমা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। যার জেরে বসে যায় পাথরের স্ল্যাব। উড়ে যায় ফুটপাতের ইট। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফরেন্সিক দল। ফরেন্সিক বিভাগের ডিসি ওয়াসিম রাজা বলেন, ‘‘ফুটপাতের নীচে এক জায়গায় সিইএসসি-র বিদ্যুতের তার পুড়তে পুড়তে দাহ্য গ্যাস জমে যায়। তাতেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে।’’
তবে রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় ওই ফুটপাত খালি ছিল। পথচারী কিংবা কোনও হকারও ছিলেন না। থাকলে ওই বিস্ফোরণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হত বলেই মত ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। এ দিন সকালে সিইএসসি-র আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের দাবি, ওই এলাকায় মাটির নীচে সিইএসসি-র কোনও হাইটেনশন লাইন নেই। আছে লো টেনশন লাইন। ফলে ওই লাইন থেকে বিস্ফোরণের আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। রবিবার রাতে ওই বিস্ফোরণের পরে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়নি বলে তাঁদের দাবি।
এ বিষয়ে সিইএসসি-র মুখপাত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। তবে এখনও ফরেন্সিক রিপোর্ট আমাদের হাতে আসেনি। সেই রিপোর্ট দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy