প্রতীকী ছবি।
ভারতে সোনা পাচারে জড়িয়ে যাচ্ছে বিদেশিদের নাম। গত দেড় মাসে সোনা পাচার করতে গিয়ে কয়েকটি ঘটনায় কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়েছে বেশ কয়েক জন বিদেশি নাগরিক। শুল্ক দফতর জানাচ্ছে, দিল্লি, মুম্বইয়েও এমন ঘটনায় ধরা পড়ছে বিদেশিরা।
আকাশপথে সোনা মূলত আসে ব্যাঙ্কক, মায়ানমার থেকে। কলকাতা-ব্যাঙ্কক রুটে নিয়মিত উড়ান চালাচ্ছে ছ’টি সংস্থা। সেগুলির উপরে নিয়মিত নজর রাখেন শুল্ক অফিসারেরা। মায়ানমারে এত দিন সপ্তাহে দু’দিন শুধু এয়ার ইন্ডিয়া উড়ান চালাত। মাস দুয়েক আগে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ওই রুটে উড়ান চালু করায় সে দিকেও শুল্ক অফিসারদের নজর পড়েছে।
এক শুল্ককর্তার কথায়, ‘‘চক্রের মাথারা এত দিন সোনা পাচারে বাহক ব্যবহার করছিল। বাহকেরা বিদেশ থেকে আনা অনেক জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে এক-দুই কেজি সোনা নিয়ে এলে বোঝা মুশকিল। অথচ এক কেজি সোনাতেই মুনাফা চার-পাঁচ লক্ষ টাকা।’’ শুল্ককর্তাদের অনুমান, চিন, মায়ানমার, তাইল্যান্ডে গিয়ে পাচার-চক্রের মাথারা স্থানীয়দের টাকার টোপ দিয়ে এ কাজে নামাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের শেষ রবিবার চিনের গুয়াংঝাও থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বই যাওয়ার সময়ে দুই চিনা যুবক ৭৫ লক্ষ টাকার চোরাই সোনা-সহ ধরা পড়ে। সম্প্রতি মায়ানমার থেকে চোরাই সোনা এনে কলকাতায় ধরা পড়ে দুই সেখানকার দুই যুবকও।
শুল্ককর্তাদের মতে, বিদেশিদের অনেকেই ভারতে সোনা এনে পরিবর্তে মাদক বা বিদেশি মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরে সাত কেজি চরস-সহ ধরা পড়ে এক রুশ যুবক। বিদেশি মুদ্রা-সহ দুই সিরীয় যুবকও ধরা পড়েছে। এত দিন যাঁরা আইনি পথে বিদেশ থেকে সোনা কিনে ভারতে বিক্রি করতেন, কেন্দ্রের অতিরিক্ত শুল্কের চাপে তাঁরা ব্যবসা কমিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে যে চাহিদা তৈরি হয়েছে তা পূরণ হচ্ছে চোরাই সোনা দিয়ে।
মূলত বাংলাদেশ, মায়ানমার ও ব্যাঙ্কক থেকে সোনা ভারতে ঢুকছে। বাংলাদেশ থেকে মূলত জল ও স্থলপথে, মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে সোনা দেশে ঢোকে। তার পরে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি থেকে উড়ানে তা কলকাতায় আনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy