সচেতনতায়: উদ্বোধন হল ট্রি লাইব্রেরির। বুধবার, নিউ টাউনে। নিজস্ব চিত্র
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনেকেই চারা রোপণ করে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীকালে কী অবস্থা হয় সেই সব চারাগাছের, সে খবর রাখেন না প্রায় কেউই। পরিবেশ সচেতনতায় এ বার সেই দায়বদ্ধতা বাড়াতে ট্রি লাইব্রেরি তৈরি করছেন হিডকো কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিকেলে নিউ টাউনে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সূচনা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, রাজ্য বন দফতর এবং নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহযোগিতায় বিশ্ব বাংলা গেট থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিন একর জায়গা জুড়ে এই প্রকল্প গড়ছে হিডকো। এ দিন স্থানীয় একটি আবাসনের আট জন প্রবীণ বাসিন্দা এই লাইব্রেরি নির্মাণে চারা রোপণ করেন। হিডকো সূত্রের খবর, গাছের বৈজ্ঞানিক নাম-গোত্র-প্রজাতি, বাংলা নাম, চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য জানা যাবে সেখান থেকে। একই সঙ্গে যিনি চারা রোপণ করবেন, তাঁর নামও লেখা থাকবে। যাতে সেই গাছ রক্ষা করার দায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মও নিতে পারে।
আজ, বৃহস্পতিবার পরিবেশ রক্ষার বার্তা নিয়ে পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী। হিডকোর এক কর্তা জানান, এই প্রকল্প তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। নিউ টাউনেও আজ পরিবেশ রক্ষায় মিছিল হবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা জানান, দূষণ কমাতে যত বেশি চারা বসানো হবে, ততই ভাল। বটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ৩৫৮০টি প্রজাতির গাছ রয়েছে, যার সব ক’টি এই লাইব্রেরিতে স্থান পাবে বলে সূত্রের খবর।
হিডকোর এক আধিকারিক জানান, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে প্রবীণদের দিয়ে চারা রোপণের ভাবনা। যে গাছের নামকরণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান রয়েছে, সেই তথ্যও উল্লেখ থাকবে। হিডকো সূত্রের খবর, ওই তিন একর জায়গায় কোনও নির্মাণ হবে না। লাইব্রেরিতে যেমন বই থাকে, তেমনই ওখানে বিভিন্ন গাছ ও তার তথ্য থাকবে। যাতে ফ্ল্যাট-সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত শহরবাসী, পড়ুয়া এবং গবেষকেরা গাছ চিনতে যেতে পারবেন ওই লাইব্রেরিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy