আক্রান্ত সেলসম্যান। নিজস্ব চিত্র।
বহুজাতিক চিমনি বিক্রয়কারী সংস্থার সেলসম্যানকে বাড়িতে ডেকে কুকুর লেলিয়ে দেওয়া ও বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল নিউ আলিপুরের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বহুজাতিক সংস্থাটি। যে গৃহবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২৭ জুলাই। একটি বহুজাতিক চিমনি বিক্রয়কারী সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি পণ্য কেনেন নিউ আলিপুরের ই ব্লকের গৃহবধূ মধুমন্তী সাহা। কেনার পর বহুজাতিক সংস্থার টাকা মেটাতে তিনি ব্যাঙ্কের একটি চেক দেন। কিন্তু, ব্যাঙ্ক চেকটি ফেরত পাঠিয়ে দেয়। টাকা না পাওয়ায় সংস্থাটির তরফে ফের যোগাযোগ করা হয় মধুমন্তীর সঙ্গে। তিনি প্রাপ্য টাকা নগদে দিয়ে দিতে সম্মতও হন।
টাকা নিতে শুক্রবার দুপুরে মধুমন্তীর বাড়িতে যান সংস্থার দুই প্রতিনিধি অমিত চক্রবর্তী এবং সোমনাথ মণ্ডল। কিন্তু টাকা দেওয়ার নাম করে তাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ বাড়িতে বসিয়ে রাখেন অভিযুক্ত গৃহবধূ। এর পর তাঁদের ঠান্ডা শরবত খেতে দেওয়া হয়। শরবত খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন অমিত। বিপদ বুঝে তাঁর সঙ্গী সোমনাথ মণ্ডল ফোন করে পুরো বিষয়টি অফিসে জানাতে গেলে মধুমন্তী আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। গৃহবধূর বিরুদ্ধে কুকুর লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন সোমনাথবাবু। কোনও রকমে পালিয়ে এসে নিউ আলিপুর থানায় হাজির হন তিনি। সেখান থেকেই তিনি পুরো বিষয়টি অফিসে জানান।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: শম্ভুনাথ পণ্ডিতে আগুন, আধ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
এর পর পুলিশের সহযোগিতায় অমিত চক্রবর্তীকে উদ্ধার করা হয় নিউ আলিপুরের ওই গৃহবধূর বাড়ি থেকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে গৃহবধূর বিরুদ্ধে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে নিউ আলিপুর থানায়। এর পর অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘রাজা’র বাড়ির বকেয়া কর ১৩ লক্ষ!
ঠিক কী কারণে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন ওই গৃহবধূ, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy