Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Coronavirus

চিকিৎসা করাতে এসে আক্রান্ত, উদ্বেগ রাজারহাটে

কেন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা? ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে। প্রথমত, ভিন্‌ রাজ্য কিংবা দেশ থেকে বহু মানুষ ক্যানসার, কিডনির সমস্যা-সহ একাধিক রোগের চিকিৎসা করাতে আসেন সংলগ্ন এলাকার হাসপাতালে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০২:৩৮
Share: Save:

রাজারহাট গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণের হার কম হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে চারটি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করে চলছে লকডাউন। রাজারহাট ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৯ জুলাই পর্যন্ত সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১৮। সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন। ৬৮ জন বাড়িতে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি এলাকা— ভাতেণ্ডা, বসিনা মাঠপাড়া, পূর্ব বাজেতরফ এবং লাউহাটি মোল্লাপাড়াকে ঘিরে রাখা হয়েছে।

কেন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা? ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে। প্রথমত, ভিন্‌ রাজ্য কিংবা দেশ থেকে বহু মানুষ ক্যানসার, কিডনির সমস্যা-সহ একাধিক রোগের চিকিৎসা করাতে আসেন সংলগ্ন এলাকার হাসপাতালে। তাঁরা বেশ কয়েক মাস ধরে রাজারহাট গ্রামীণ এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। তাঁদের একাংশ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যেমন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজারহাটে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বাইরে থেকে চিকিৎসার জন্য এসে ওই এলাকায় রয়েছেন।

দ্বিতীয়ত, রাজারহাটের বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তার ফলেও বেশি সংখ্যায় আক্রান্তদের শনাক্ত করা যাচ্ছে। পাশাপাশি, পার্শ্ববর্তী একাধিক এলাকায় করোনার প্রকোপ রয়েছে। সেখান থেকে রাজারহাটে যাতায়াতের সূত্রেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে ব্লক প্রশাসন। রাজারহাটের বিডিও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, এলাকায় মৃত্যুর ঘটনা বাড়েনি। আক্রান্তেরা সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটা ইতিবাচক দিক। তিনি আরও জানান, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পিছনে যে সব কারণ দেখা যাচ্ছে, তা পর্যালোচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

রাজারহাটের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর জানান, চিকিৎসা করাতে এসে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। বিষয়টি চিন্তায় রেখেছে তাঁদের। তিনি জানান, করোনা এবং ডেঙ্গি একযোগে মোকাবিলার জন্য ট্যাবলো, লিফলেট, মাইকে লাগাতার প্রচার চলছে এলাকায়। প্রবীরবাবু জানান, বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই প্রচারে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE