চলছে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র।
জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, বরং সহজ পথে হেঁটেই আপাতত মাঝেরহাটের যান-যন্ত্রণা কমাতে চাইছেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। দফতর সূত্রের খবর, চেতলা খালের উপরে কংক্রিটের ব়ড় ব্যাসার্ধের পাইপ (হিউম পাইপ) ব্যবহার করে তার উপরে ঢালাই করে কালভার্ট বা ছোট সেতু তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার উপর দিয়েই গা়ড়ি চালানো হবে। পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘খাল বা ছোট নদীর উপরে এই কালভার্ট তৈরি করা তুলনায় সহজ এবং নির্ভরযোগ্য। তা়ড়াতা়ড়ি তৈরিও করা যায়।’’
সেতু-বিপর্যয়ের পরে ঘুরপথে গাড়ি চালালেও যানজট সামলাতে পারছে না পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে মাঝেরহাট সেতুর দু’প্রান্তে থাকা ডায়মন্ড হারবার রোডকে জুড়ে দিয়ে গাড়ি চালানোই বড় চ্যালেঞ্জ। তার জন্য আলিপুর অ্যাভিনিউ থেকে নিউ আলিপুর এবং ভাঙা মাঝেরহাট সেতুর পাশে দু’টি কালভার্ট তৈরি হবে। পূর্ত দফতরের একটি সূত্র বলছে, পুজোর আগেই এই কালভার্ট তৈরির সময়সীমা স্থির করা হয়েছে।
কী ভাবে তৈরি হবে কালভার্ট?
প্রথমে খালে একটি শক্ত ভিত তৈরি করা হবে। তার উপরে কিছু হিউম পাইপ বসানো হবে। ফের তার উপরে এক পরত ঢালাই হবে এবং ঢালাইয়ের উপরে আবার কয়েকটি হিউম পাইপ বসবে। তার উপরে হবে কালভার্ট। ৩০ ফুট লম্বা এবং সাত মিটার চও়ড়া সেতুগুলিতে দু’টি লেন দিয়ে গাড়ি চলতে পারবে।
এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, আলিপুরের দিকে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বালি ও ছাই ফেলা হচ্ছে। তদারকিতে আছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্তারাও। এলাকা পরিদর্শনও করেন তাঁরা। এখানে অবশ্য খালের দু’পাশে খুঁটি বসানো হবে প্রথমে। তার পরে সেখানে অস্থায়ী সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে।
দু’টি কালভার্টের পাশাপাশি নিউ আলিপুর ও মাঝেরহাট স্টেশনের মাঝে দু’টি লেভেল ক্রসিংও তৈরি করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy