সবুজের জন্য: চলছে কংক্রিটের বেদি ভাঙার কাজ। সোমবার, রাসেল স্ট্রিট ও মিডলটন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। নিজস্ব চিত্র
হাইকোর্টের নির্দেশ মতো শহরের ফুটপাতে গাছের চারদিকে বেদি ভাঙার কাজ শুরু করল পুরসভা। রাস্তার ধারে গাছের চারিদিকে কোনও বাঁধানো বেদি থাকলে তা ভেঙে ফেলার জন্য সম্প্রতি পুর প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই মতো সোমবার রাসেল স্ট্রিট এবং মিডলটন স্ট্রিটের মোড়ের গাছের চারপাশে বাঁধানো বেদি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। এ দিন সকাল ১১টা থেকে পুরসভার ‘ডেমোলিশন গ্যাং’ ওই বেদি ভাঙার কাজ শুরু করে।
প্রসঙ্গত, ফুটপাতে গাছের চারিদিকে কংক্রিটের বেদি ভাঙার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে শহরের ফুটপাতে এমন সব কংক্রিটের বেদি ভেঙে ফেলতে হবে। তার পরেই কোন কোন গাছের গোড়া কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো রয়েছে, তা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছিল পুরসভা। এ দিন থেকে তা ভাঙার কাজ শুরু হয়।
যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ওই মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে ‘টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি প্ল্যানিং অর্গানাইজেশন’ ‘আর্বান গ্রিনিং গাইডলাইনস, ২০১৪’-এ গাছের আয়ু ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য স্পষ্ট কিছু নির্দেশ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল যে, ফুটপাত কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হলে তা ওই ফুটপাত সংলগ্ন গাছের শিকড়ের উপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই ফুটপাত বাঁধিয়ে দেওয়া হলেও গাছের গোড়ার চারিদিকে ১.২৫ মিটার বাই ১.২৫ মিটার ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছিল, যাতে জল-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু সেই নির্দেশ প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মুখপাত্র, পরিবেশকর্মী বনানী কক্বর এ দিন বলেন, ‘‘পুরসভা বেদি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি। গাছের গোড়া বাঁধানো হলে যে গাছ বাঁচবে না, এটা আগে বুঝতে হবে। ফুটপাতে গাছ বাঁচানোর জন্য আর্বান গ্রিনিং গাইডলাইনসের সমস্ত নির্দেশিকা মান্য করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy