Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in Kolkata

ঘরে থাকা ৪০ শতাংশ করোনা রোগী নিয়ম মানছেন তো? প্রতি দিনই খোঁজ নেবে পুরসভা

কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার ছুঁতে চলেছে। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৮০ জনের।

রোগীরা নিয়ম মানছেন কি না, কেমন আছেন, প্রতি দিন খোঁজ নেওয়া হবে।

রোগীরা নিয়ম মানছেন কি না, কেমন আছেন, প্রতি দিন খোঁজ নেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২০ ২০:০৮
Share: Save:

কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের ৪০ শতাংশের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে। ওই রোগীরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম মানছেন কি না, তা জানতে প্রতি দিনই খোঁজ নেবে কলকাতা পুরসভা। সেই সঙ্গে করোনা রোগীদের শনাক্তকরণের জন্য আরটিপিসিআর-এর পাশাপাশি সব ওয়ার্ডেই অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। বুধবার এ কথা জানালেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অতীন ঘোষ।

কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার ছুঁতে চলেছে। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৮০ জনের। প্রতি দিনই প্রায় ৬০০-৭০০ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন শুধুমাত্র কলকাতাতে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে, হোম আইসোলেশনে যদি নিয়ম না মানা হয় সে ক্ষেত্রেই রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শহরের বয়স্কদের কোমর্বিডিটি রয়েছে অনেকের। তারও একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অতীন ঘোষ বলেন, “আমারা সমীক্ষা করে দেখেছি, ৪০ শতাংশ করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে ঘরে। তারা নিয়ম মানছেন কি না, কেমন আছেন, প্রতি দিন খোঁজ নেওয়া হবে। নজরদারির পাশাপাশি আরটিপিসিআর এবং অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “করোনা শনাক্তকরণের জন্য আরটিপিসিআর টেস্ট চলছে। তার সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডে অ্যান্টিজেন টেস্টের চেষ্টা চলছে। আপাতত, প্রতিটি বরোতে কমপক্ষে তিনটি জায়গায় টেস্টের পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সপ্তাহে ৬ দিন করে টেস্ট হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টে যাঁর নেগেটিভ আসবে, তাঁদের আবার আরটিপিসিআর রিপোর্টের মাধ্যমে করোনা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করা হবে।”

আরও পড়ুন: কমল আরও এক দিন, রাজ্যে ২৮ অগস্ট হচ্ছে না পূর্ণ লকডাউন​

পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা কমিউনিটি হলে অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিকাঠানো গড়ে তোলা হচ্ছে। এই ধরনের পরীক্ষা করতে গেলে স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই কিট পরে থাকতে হয়। তার সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু বন্দোবস্ত। সে কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে এসি-র ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রথমিক পর্যায়ে একটি বরোতে তিনটি সেন্টার করা হবে। পরে কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডেই টেস্টের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।

আরও পড়ুন: ঘোড়া বেচাকেনার রাজনীতির হার, রাজস্থান নিয়ে মন্তব্য অধীরের​

হোম আইসোলেশনের নজরদারি জন্য বরোভিত্তিক দল গঠন করা হবে। বরো স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে প্রতি দিন রোগীদের খোঁজ নেওয়া হবে। এ ছাড়াও পুরসভার কর্মীরা যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্যও করবেন। এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট রূপরেখার জন্য এ দিন বরোর স্বাস্থ্য অফিসার এবং কোঅর্ডিনেটরদের সঙ্গে আলোচনা করেন অতীন ঘোষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE