—প্রতীকী ছবি।
বরজ রোডে রবীন্দ্র সরোবরের উপরে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের দুই দফতরের মধ্যে চাপান-উতোর ছিলই। ফলে ওই সেতু কে দেখভাল করবে, সেই সমস্যার সমাধানও বহু দিন পর্যন্ত হয়নি। সম্প্রতি মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে ওই পুরনো সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ফের টনক নড়ে প্রশাসনের। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য কেএমডিএ-র একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তাঁরা এই কাজের জন্য রাজ্য পূর্ত দফতরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তারা কেএমডিএ-র পাঠানো চিঠি পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ শীঘ্রই এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হকিম বলেন, ‘‘শহরে কেএমডিএ-র তৈরি যে সব সেতু আছে, সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বহু দিন আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেগুলি সারানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সেতুর মেরামতির কাজে রাজ্য সরকারের অন্য দফতরেরও সাহায্য নেওয়া হতে পারে।’’
সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতায় রবীন্দ্র সরোবরের কাছে বরজ রোড কেএমডিএ-র জায়গা বলেই চিহ্নিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেখানে যখন উড়ালপুল তৈরি হয়, তখন কেএমডিএ-র হাত থেকে রবীন্দ্র সরোবরের সেতু সহ রাস্তার বেশির ভাগ অংশ চলে আসে পূর্ত দফতরের অধীনে। লেক গার্ডেন্স উড়ালপুল তৈরি করার পরে পুরনো সেতুর একটি অংশে আরও একটি লেন তৈরি করে পূর্ত দফতর। নতুন তৈরি ওই লেনটি তারাই রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতি করত। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় সেতুর পুরনো অংশের মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণ কে করবে, তাই নিয়ে। বর্তমানে পুরনো সেতু এবং উড়ালপুল— দু’টিই লেক গার্ডেন্সের দিকে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি প্রচুর গাড়িও পুরনো সেতু দিয়ে চলাচল করে। কেএমডিএ-র বক্তব্য, কোনও কারণে সেতুটি ভেঙে পড়লে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে কারণে প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষার পরে সংস্থার আধিকারিকেরা জানান, সেতুর পুরনো অংশের রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।
রাজ্য পূর্ত দফতরের বক্তব্য, যেহেতু তারা উড়ালপুল তৈরি করেছে, সে কারণে সেটি সংলগ্ন রাস্তাটির দেখভালের সব দায়িত্বও তাদের। কিন্তু নিয়মানুযায়ী, উড়ালপুল এবং সংলগ্ন রাস্তা ছাড়া বাকি অংশ দেখার কথা কেএমডিএ-র সংশ্লিষ্ট বিভাগের। তবে তারা যদি পূর্ত দফতরকে ওই অংশটি দেখভালের ব্যাপারে আবেদন জানায়, পূর্ত দফতর অবশ্যই সেই কাজ করবে। আগেও কেএমডিএ নির্মিত পুরনো সেতুটি পূর্ত দফতর রক্ষণাবেক্ষণ করেছে বলে তাদের দাবি।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, উড়ালপুল সংলগ্ন অংশটি যতক্ষণ না পূর্ত দফতর তাদের হস্তান্তর করছে, ততক্ষণ আইনত তারা কোনও কাজ করতে পারে না। তবে তাঁর মতে, সেতুর একাংশ যখন পূর্ত দফতর দেখভাল করছে তখন বাকি অংশটিও তারা দেখতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy