মহিলাকে দেখেই সন্দেহ হয়েছিল আরপিএফ কর্মীদের। প্ল্যাটফর্মে উদ্দেশ্যহীন ভাবে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। পরপর চারটি ট্রেন ছেড়ে দিলেন। কারও জন্য অপেক্ষা করছেন বলেও মনে হল না। কী করতে চান তা হলে? নজর রাখছিল সতর্ক আরপিএফ। এর পরে পাঁচ নম্বর ট্রেনটি আসছে কি না, সেটাই বারবার দেখার চেষ্টা করছিলেন ওই মহিলা। তখনই আরপিএফ কর্মীরা এসে তাঁকে প্ল্যাটফর্মের ধার থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে কবি aনজরুল স্টেশনে।
মেট্রোকর্তারা জানিয়েছেন, আরপিএফ ধরার পড়ে মহিলা চিৎকার জুড়ে দেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্টেশন মাস্টারের ঘরে। সেখানে মহিলা বলেন, ‘‘কেন আমায় আটকালেন? আমাকে ছেড়ে দিন। আমি আত্মহত্যাই করব।’’ তার পরে তাঁকে কোনও রকমে বুঝিয়েসুঝিয়ে বাড়ির ঠিকানা ও ফোন নম্বর জেনে নেন মেট্রোর কর্মীরা। খবর পাঠানো হয় সেখানে। ঘণ্টাখানেক পরে পরিবারের লোকজন স্টেশনে পৌঁছে মহিলাকে বাড়ি নিয়ে যান। সম্ভবত পারিবারিক অশান্তির জেরেই তিনি এই ঘটনা ঘটাতে গিয়েছিলেন বলে অনুমান মেট্রোর কর্তাদের।
মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দেওয়া রুখতে সম্প্রতি তিন দফা দাওয়াই ঘোষণা করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যেই হাতেনাতে তার সুফল মিলল। প্ল্যাটফর্মে প্রহরা বাড়ানোয় ঝাঁপ দেওয়ার আগেই রক্ষা করা গেল এক মহিলাকে।
গত সপ্তাহে দু’জন ঝাঁপ দিয়েছিলেন মেট্রোর লাইনে। এক যুবক ও এক মহিলা। মহিলা আবার নিজের শিশুকে কোলে নিয়ে ঝাঁপ দেন। শিশুটি বেঁচে গেলেও বাকি দু’জনেরই মৃত্যু হয়। মেট্রোর লাইনে ঝাঁপানোর এই প্রবণতা রুখতে তিন দফা দাওয়াই হল: ১) ফোন নম্বর ঘোষণা, ২) প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত আরপিএফ মোতায়েন এবং ৩) প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময়ে ট্রেনের গতি কমানো। মেট্রোকর্তারা জানান, ‘‘সেই ওষুধে কাজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রাণে বাঁচলেন এক মহিলা।’’
মেট্রো সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত মেট্রোয় ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মোট ৩১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১৫৭ জনকে বাঁচানো গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy