রোগী-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধল এম আর বাঙুর হাসপাতালে।
বুধবার বিকেলে মেডিসিন বিভাগের এক রোগীর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দিন দুয়েক আগে সোনারপুরের ওই বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তি হন। এ দিন বিকেলে তাঁর মৃত্যুর খবর জানাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর পরিজনেরা। অভিযোগ, ওয়ার্ডের মধ্যেই নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু করেন তাঁরা। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে হাসপাতালের এক কর্তা মেডিসিন ওয়ার্ডে পৌঁছলে পরিজনেরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কর্মীরা কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে রক্ষীরা পরিস্থিতি সামাল দেন।
যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে রোগীর পরিজনেদের পাল্টা অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের কর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকী রোগীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ পরিজনদের।
যদিও দু’পক্ষের কেউই পুলিশে অভিযোগ করেননি। হাসপাতালের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এমন ঘটনা কোনও ভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে বচসা ও চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা লাগাতার ঘটে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে সম্প্রতি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্মীদের হেনস্থার ঘটনায় পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেন তিনি। সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজার আশ্বাসও দেন। পরিস্থিতি পরিবর্তনের আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ফের পথে নামার পরিকল্পনা করছে চিকিৎসক সংগঠনগুলো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy