প্রতীকী ছবি।
শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুটির পরিবার।
পুলিশ সূত্রের খবর, ব্যারাকপুরের বাসিন্দা মিঠু ঘোষ ২৫ এপ্রিল পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। মিঠুর স্বামী রাজীব ঘোষের অভিযোগ, ‘‘স্ত্রী সুস্থ সন্তান প্রসব করেছিলেন। জন্মের সময় ওজন ছিল ২ কেজি ৮৫০ গ্রাম। অথচ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার পরে সে মারা যায়। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই সুস্থ শিশুটি অকালে চলে গেল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সন্তানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিক।’’
মৃত শিশুটির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮ এপ্রিল রাতে শিশুটিকে হাসপাতালের নার্সারি বিভাগ থেকে মিঠুদেবীর কাছে দেওয়া হয়। রাজীববাবুর অভিযোগ, ‘‘২৮ তারিখ রাতে চিকিৎসক ফোনে জানান, ছেলের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে অন্য একটি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। রাতেই বাড়ি থেকে হাসপাতালে যেতে চাইলে চিকিৎসক আশ্বস্ত করে জানান, ঘাবড়ানোর প্রয়োজন নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ রাজীব জানান, পরের দিন ২৯ এপ্রিল সকালে হাসপাতালে এসে বাচ্চাকে আইসিইউ-তে দেখেন। রাজীববাবুর অভিযোগ, ‘‘হঠাৎ করে কী ভাবে শিশুটির অবস্থার অবনতি হল তা চিকিৎসক বিন্দুমাত্র জানাননি। ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি হয়নি।’’
যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিশু চিকিৎসক ত্রিদিব বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিশুটি জন্মানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পায়ুপথে রক্ত বেরোতে শুরু করে। এর পরেই সে সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। দুভার্গ্যজনক ঘটনা। শতকরা এক শতাংশ সদ্যোজাতের ক্ষেত্রে এমন হয়। তবে রোগীর পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছে। চিকিৎসায় গাফিলতি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy