Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নয়া রেক চালু না হলে কমবে না ভোগান্তি

মেট্রো রেল সূত্রে খবর, প্রতি দিন যাত্রী পরিবহণের জন্য বরাদ্দ রেকের সংখ্যা কোনও কারণে কুড়ির নীচে নেমে গেলেই যাত্রী পরিষেবায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০২:৩৯
Share: Save:

মাসখানেকের মধ্যে নতুন এসি রেক চালু করা না গেলে দিন পিছু ট্রেনের সংখ্যা কমাতে হতে পারে বলে আশঙ্কা মেট্রোকর্তাদের। মেট্রো সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে মেট্রো দিনে ২৭৮টি ট্রেন চালাত ২১টি রেক দিয়ে। এখন নিউ গড়িয়া থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত দিনে ৩০০টি ট্রেন চালাচ্ছে মাত্র ২০টি রেক দিয়ে। দিন প্রতি ট্রেনের সংখ্যা এবং যাতায়াতের দূরত্ব বাড়লেও রেকের সংখ্যা কমেছে। ফলে কম রেকে বেশি পরিষেবা দিতে গিয়ে চাপ বাড়ছে। মেট্রোয় ঘন ঘন বিঘ্ন ঘটার পিছনে ওই সমস্যাকেই দায়ী করছেন মেট্রোকর্তারা।

মেট্রো রেল সূত্রে খবর, প্রতি দিন যাত্রী পরিবহণের জন্য বরাদ্দ রেকের সংখ্যা কোনও কারণে কুড়ির নীচে নেমে গেলেই যাত্রী পরিষেবায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। কোনও কারণে এক বার সমস্যা দেখা দিলে তার জের চলে রাত পর্যন্ত। মেট্রোকর্তাদের দাবি, প্রথমে কিছু ট্রেন টালিগঞ্জ পর্যন্ত চলত। পরে সেগুলি নিউ গড়িয়া পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন পরিস্থিতিতে প্রতিটি রেক আগের তুলনায় গড়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি ব্যবহার হচ্ছে। মেট্রো কর্তাদের দাবি, নতুন রেক চালু না হলে বেশি দিন এই চাপ নেওয়া সম্ভব হবে না।

এক মেট্রোকর্তা জানান, সকাল ৭টা থেকে ১২টার মধ্যে সারা দিনের মোট যাত্রীর প্রায় ৬০ শতাংশ পরিবহণ করে মেট্রো। সন্ধ্যার পরে ফের বাড়তে থাকে যাত্রী সংখ্যা। ফলে ব্যস্ত সময়ে পরিষেবা ঠিক রাখতে না পারলে সমস্যা বাড়ে।

মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সপ্তাহের কাজের দিনে গড়ে সাড়ে ৬ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। ট্রেনের সংখ্যা কমালে পরিষেবার উন্নতি হতে পারে। কিন্তু যাত্রীর যা চাপ, তাতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সেরে নতুন রেক দ্রুত চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Metro rakes Public sufferings
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE