প্রতীকী ছবি।
গত ১১ মে ভরসন্ধ্যায় ট্যাংরার চায়না টাউনের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী বাবু সরকারকে (৫০)। সেই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম বাপ্পা ঘোষ ওরফে বড়কা এবং পাপ্পু মাকাল। তবে খুনে ব্যবহৃত চপারটি এখনও উদ্ধার হয়নি। লালবাজার জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে হোমিসাইড শাখা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় এলাকার এক তৃণমূল নেতার নাম করে বাবুকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বাপ্পা। অভিযোগ, সে বাবুকে বলে, নিজেদের মধ্যে গোলমাল মিটিয়ে নেওয়ার জন্য গোবিন্দ খটিক রোডে ওই তৃণমূল নেতা তাঁকে ডাকছেন। এর কিছু ক্ষণ পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় বাবুকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক বন্ধু মৃণাল মুখোপাধ্যায়। তিনি কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন।
বাবুর পরিবার আরও অভিযোগ করেছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে কিছু দিন ধরেই গোলমাল চলছিল। গোবিন্দ খটিক রোডের দলীয় অফিসটি আগে ছিল অন্য নেতার দখলে। সম্প্রতি সেখানে বসছিলেন বাবু ও তাঁর সঙ্গীরা। ফলে এলাকার উপর থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছিল অন্য গোষ্ঠী। তা নিয়ে রফা করতেই ১১ তারিখ সন্ধ্যায় বাবুকে ডেকে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল বাপ্পা-সহ অভিযুক্তেরা। মঙ্গলবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তাদের আইনজীবী অতীন্দ্র ঘোষ অল্প দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান। অন্য দিকে সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ওই ঘটনায় তিন জন এখনও ফেরার। তা ছাড়া, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। তাই দুই অভিযুক্তকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজত দেওয়া হোক। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক কাইজার আলম বাপ্পা ও পাপ্পুকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এ দিন আদালতের বাইরে হাজির ছিলেন বাবুর পরিজনেরা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তোলেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy