প্রতীকী ছবি।
গাঁজার কারবার করতে গিয়ে এ বার হাতেনাতে ধরা পড়ল কুখ্যাত গাঁজা মাফিয়া, ট্যাংরা এলাকার ‘ডন’ জয়দেব দাসের মা রিনা দাস। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ এন্টালি থানার কনভেন্ট রোড এবং ক্যানাল স্ট্রিট রোডের সংযোগস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সঙ্গে করুণা সিন্ধু এবং অজয় রাউত নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যে করুণার বাড়ি নদিয়ার চাকদহ এবং অজয়ের বাড়ি প্রগতি ময়দান থানা এলাকায়। রিনা দাস থাকে ট্যাংরার মথুরবাবু লেনে। তাদের কাছ থেকে মোট ৩০ কিলোগ্রাম গাঁজা এবং নগদ ৬২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রিনা দাসের কাছে ছিল ৪ কিলোগ্রাম গাঁজা। বিক্রি করার সময়ই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ট্যাংরা থানার পুলিন খটিক রোডের একটি চারতলা আবাসনের একেবারে উপরের ফ্ল্যাটে বছর দেড়েক ধরে থাকত জয়দেব দাস নামে এক ব্যক্তি। এই জয়দেবের ফ্ল্যাটেই হানা দিয়ে সম্প্রতি হিংস্র কুকুরের কামড় খেয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মী। পুলিশ রিনা দাস নামে যে মহিলাকে গ্রেফতার করেছে, সে এই জয়দেবেরই মা।
আরও পড়ুন: পিছনে কারা? অশান্তি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে
জয়দেব একা নয়, পুরো পরিবারই যে এই গাঁজার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তা আগে থেকেই সন্দেহ করেছিল পুলিশ। সে জন্য রিনা দাসের বাড়ির উপর নজর রাখা হয়েছিল। এ বার হাতেনাতে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ধৃত জয়দেব দাস। -ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: বাংলার পর জ্বলছে দিল্লি, জামিয়ার ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়া পেটাল পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতি মাসে মোট ১৬০০ কেজি গাঁজা আসত জয়দেবের কাছে। তা নিজের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং বাবা-মার মথুরবাবু লেনের ওই বস্তির ঘরে লুকিয়ে রাখত সে। সেই গাঁজার উপরে নজরদারি চলত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, কেজি প্রতি ৫ হাজার টাকায় গাঁজা বিক্রি করত জয়দেব। মাদক পাচারকারীদের কাছে ট্যাংরা এলাকার ‘ডন’ বলে পরিচিত ছিল সে। মূলত শিয়ালদহ, গড়িয়া এলাকায় গাঁজা সরবরাহ করত। প্রতি মাসে তার আয় ছিল প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। দামি গাড়ি, বিদেশি কুকুর ছাড়াও নিজের নিরাপত্তার জন্য প্রতি মাসে তার খরচ ছিল ৫৬ হাজার টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy