সুরক্ষা: এ ভাবেই জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ঘাট। নিজস্ব চিত্র
ফি বছরই দোল এবং হোলিতে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান অনেকে। সেই বিপদ থেকে বাঁচাতে এ বার নয়া রাস্তায় হাঁটছে লালবাজার। বুধবারই বাবুঘাট-সহ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে জাল লাগিয়ে দিয়েছে কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ। জালের প্রাচীরের উপরে উজ্জ্বল রঙের বল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে স্নান করার সীমানা কত দূর, তা সহজেই বুঝতে পারবেন লোকজন।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছেন, দোল ও হোলিতে অনেকেই ‘আনন্দে’ মত্ত ও বেসামাল হয়ে পড়েন। তার পরে গঙ্গাস্নানে এসে ভারসাম্য রাখতে না পেরে অথবা সাঁতরে মাঝগঙ্গায় গিয়ে তলিয়ে যান। মৃত্যুও ঘটে অনেকের। সেই কারণেই এ বার স্নানের জায়গা জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্নানের সময়ে ভারসাম্য হারালেও ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা কম। এর পাশাপাশি প্রতিটি ঘাটে এবং গঙ্গাবক্ষে নজরদারির ব্যবস্থা এবং বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, দোল ও হোলির জন্যই এই ব্যবস্থা। ভবিষ্যতে বছরভর এই ব্যবস্থা রাখা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শহরের বিভিন্ন এলাকার পুকুরগুলিতেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। গত বছর দোলে রিজেন্ট পার্কে জলে ডুবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল।
দোল ও হোলিতে পথঘাটে উপদ্রব রুখতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বেপরোয়া মোটরবাইকের উপরে নজর দেওয়া হবে। মত্ত অবস্থায় মোটরবাইক ও গাড়ি চালালেও কঠোর শাস্তি মিলবে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের মোট ৬০০টি জায়গায় পিকেট বসানো হচ্ছে। স্পর্শকাতর এলাকায় ডিসি-রা হাজির থাকবেন। জোর করে রং দিলে বা উর্দিপরিহিত পুলিশের গায়ে রং দিলেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে লালবাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy