কড়েয়া থানায় বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকটি থানা যে মশার আঁতুড়ঘর হয়ে রয়েছে, অবশেষে সেই বোধোদয় হল লালবাজারের কর্তাদের। দেরিতে হলেও থানায় থানায় মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা।
বাজেয়াপ্ত হওয়া বা দুর্ঘটনায় ভেঙেচুরে যাওয়া প্রচুর গাড়ি কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানার সামনে দাঁড় করানো থাকে। সেই সমস্ত পরিত্যক্ত গাড়িতে জমে থাকে জল। আর সেই জলেই বংশবিস্তার করে মশারা। সেই কারণেই এ বার প্রতিটি থানা এবং কলকাতা পুলিশের সমস্ত ইউনিটকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, আদালতের অনুমতি নিয়ে পরিত্যক্ত সব ক’টি গাড়ি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে রেখে আসতে হবে। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (২) বৃহস্পতিবার লিখিত ভাবে প্রতিটি ডিভিশন ও ব্যাটেলিয়নের ডিসি-দের ওই নির্দেশ দিয়েছেন। তাতে তিন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লালবাজারে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ওই নির্দেশে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুরসভার তরফে পুলিশকে একটি তালিকা দেওয়া হবে, যাতে কোথায় কোথায় জঞ্জাল রয়েছে বা কোথায় জল জমে রয়েছে, তার উল্লেখ থাকবে। সেই তালিকা অনুযায়ী থানা এবং ইউনিটগুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, আদালতের অনুমতি নিয়েই বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের সামনে রাখা গাড়িগুলিকে সরানোর কাজ শুরু করতে হবে। গাড়ির মালিকের নামে জিম্মানামা নিয়ে সেই গাড়ি তাঁর হাতেও তুলে দেওয়া যাবে। দাবিদারহীন গাড়ির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ই-নিলাম করা যেতে পারে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে। মোটরবাইকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তার অনুমতি নিয়ে তা সিক লেনে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গাড়িগুলিকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। এর জন্য প্রতিটি ইউনিটকে পলিথিন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিবার বৃষ্টির পরে ওই পলিথিন ঝাঁকিয়ে জল ফেলে দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লালবাজারের একটি অংশের দাবি, শহরের বেশির ভাগ থানা ইতিমধ্যেই পুরনো গাড়ি সরিয়ে ফেলেছে। পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে আর্বজনাও। থানার আশপাশে যাতে জল না জমে, আধিকারিকদের তা দেখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশকর্মীদের ব্যারাক পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy