প্রতীকী ছবি।
রাস্তার পাশে দাঁড়ানো গাড়ির চালককে এসে যুবকটি জানিয়েছিল গাড়ি থেকে তেল পড়ছে। চালক গাড়ি থেকে নেমে দেখলেন, কিছুই ঘটেনি। তার পরে চালক নিজের আসনে ফিরে দেখলেন উধাও গাড়িতে থাকা টাকা ভর্তি ব্যাগ। উধাও সেই যুবকও।
কেপমারির ওই ঘটনাটি ঘটেছে গত মাসে বালিগঞ্জ থানা এলাকার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে। অভিযোগকারী বাগুইআটির বাসিন্দা। সুকৌশলে দুষ্কৃতীরা অভিযোগকারীর গাড়ি থেকে তুলে নিয়েছে টাকা এবং নথি ভর্তি ব্যাগটি। পুলিশ জানিয়েছে, শুধু বালিগঞ্জ নয়, একই রকম ঘটনা ঘটেছে রবীন্দ্র সরোবর এবং শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকাতেও। সব জায়গাতেই ‘কৌশল’ করে গাড়ি থেকে টাকার ব্যাগ কিংবা ল্যাপটপের মতো জিনিস তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে কোনও ঘটনাতেই অভিযুক্তেরা ধরা পড়েনি। বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
লালবাজার সূত্রের খবর, এমন ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। শহরের পার্কিং লটের দায়িত্বে থাকা কর্মীদেরকেও পুরো বিষয়টি জানিয়ে তাঁদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দাদের তরফে।
গোয়েন্দারা জানান, শহরে একই কায়দায় কেপমারি বা প্রতারণার ঘটনার পিছনে রয়েছে নতুন একটি দল। তাঁদের অনুমান ওই দলটি দক্ষিণ ভারতের। যারা শুধুমাত্র পার্কিং লট, ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালককে বিভ্রান্ত করে গাড়ির ভিতর থেকে জিনিস তুলে নিচ্ছে।
এক গোয়েন্দা অফিসার বলেন, ‘‘মূলত দুই থেকে তিন জন অপরাধের সময়ে সেখানে থাকছে। তারা আগে থেকেই নজর রাখছে পার্কিং বা সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির উপরে। কখনও চালককে বলা হচ্ছে গাড়ির তেল পড়ছে। কখনো বলা হচ্ছে গাড়ির বনেটে কিছু পড়ে রয়েছে।’’
পুলিশের দাবি, চালক বিভ্রান্ত হয়ে গাড়ি থেকে নামলেই পিছনের সিট থেকে জিনিসপত্র তুলে নেওয়া হচ্ছে। সিসিটিভি নেই এমন জায়গাই দুষ্কৃতীরা বেছে নিচ্ছে। তারা হিন্দি ও বাংলা ভাষায় কথা বলে বলেই গোয়েন্দারা জানান।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy