Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
crime

বৃদ্ধ খুনে রেকি করে লুটের ছক কষে দুষ্কৃতীরা

পরিকল্পনা মাফিক বৃদ্ধের বাড়িতে লুট করতে ঢুকেছিল দুই অভিযুক্ত। চুরির সময়ে বাধা দেওয়ায় দুই অভিযুক্ত মিলে খুন করেছিল ওই বৃদ্ধকে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০১:৪১
Share: Save:

বাড়িতে কখন বৃদ্ধ একা থাকেন তা রেইকি করে আগেই জেনে গিয়েছিল অভিযুক্তেরা। সেই মতো পরিকল্পনা মাফিক বৃদ্ধের বাড়িতে লুট করতে ঢুকেছিল দুই অভিযুক্ত। চুরির সময়ে বাধা দেওয়ায় দুই অভিযুক্ত মিলে খুন করেছিল ওই বৃদ্ধকে। কড়েয়া থানা এলাকার ব্রড স্ট্রিটের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ বিশ্বজিৎ বসুর খুনের ঘটনায় আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

লালবাজার জানিয়েছে, শুক্রবার আলিপুর আদালতে ওই খুনের ঘটনার অভিযোগে ধৃত দু`জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছেন কড়েয়া থানার তদন্তকারীরা। তাতে খুন, লুটের ধারা-সহ একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ধৃতদের। প্রায় দেড়শো পাতার ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে ধৃত মুর্শিদ শেখ এবং আনার জমাদার পুরোনো জিনিস কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর সময়ে নজর করে ব্রড স্ট্রিটের ওই বাড়িতে বৃদ্ধ বিকেলের দিকে একাই থাকেন। ওই সময়ে তাঁর মেয়ে বাড়িতে থাকেন না। এর পরেই ওই চুরির পরিকল্পনা করা হয়। লুটের সময়ে বাধা পেয়ে বিশ্বজিৎবাবুকে খুন করে তারা বাড়ির পিছনের পাঁচিল টপকে পালায়। পরে দু`জনেই ট্রেনে চেপে যে যার বাড়ি চলে যায়। বর্তমানে ওই দু’জনই প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে।

গত বছরের জুন মাসে ব্রড স্ট্রিটে নিজের বাড়িতে খুন হন বিশ্বজিৎবাবু। প্রায় আট মাস পরে গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ মুর্শিদকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানা এলাকা থেকে আনারকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারের ৮৬ দিনের মাথায় আদালতে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, খুনের পরে তারা বৃদ্ধের মোবাইলটি নিয়ে পালায়। পরে মুর্শিদ সেটি বিক্রি করে দেয়। তিন হাত ঘোরার পরে মোবাইলটির খোঁজ পায় পুলিশ। সেই সূত্রেই ফেব্রুয়ারিতে ধরা হয় মুর্শিদকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ জন সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাঁদের কাছে মুর্শিদ মোবাইল বিক্রি করেছিল, তাঁরাও ওই সাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন। একইসঙ্গে কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও রয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে জেলে গিয়ে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা যায়নি। একই কারণে ফরেন্সিক-সহ মোবাইল প্রদানকারী সংস্থার রিপোর্টও মেলেনি। ওই রিপোর্ট এলে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murder Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE