Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাস ঘুরে যায়, নিষ্প্রদীপ স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ

ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভরসা গাড়ির হেডলাইট। তা ছাড়া রাস্তার বাতিস্তম্ভে কিছু আলো রয়েছে। তবে সেই আলোর অধিকাংশই জ্বলে না। আর যে কয়েকটি জ্বলে, তার কোনওটারই আলো রাস্তায় এসে পৌঁছয় না বলে অভিযোগ। ফলে অন্ধকারের মধ্য দিয়েই চলছে নিত্যদিনের যাতায়াত। এমন পরিস্থিতি স্ট্র্যান্ড রোডের বাবুঘাটের পর থেকে প্রিন্সেপ ঘাটের দিকের অংশে। অভিযোগ উঠছে গত এক মাস ধরে কোনও আলো নেই।

জ্বলে না আলো। আঁধারেই যাতাযাত। ছবি: সুমন বল্লভ।

জ্বলে না আলো। আঁধারেই যাতাযাত। ছবি: সুমন বল্লভ।

দীক্ষা ভুঁইয়া
শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৫ ০১:৩৫
Share: Save:

ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভরসা গাড়ির হেডলাইট। তা ছাড়া রাস্তার বাতিস্তম্ভে কিছু আলো রয়েছে। তবে সেই আলোর অধিকাংশই জ্বলে না। আর যে কয়েকটি জ্বলে, তার কোনওটারই আলো রাস্তায় এসে পৌঁছয় না বলে অভিযোগ। ফলে অন্ধকারের মধ্য দিয়েই চলছে নিত্যদিনের যাতায়াত। এমন পরিস্থিতি স্ট্র্যান্ড রোডের বাবুঘাটের পর থেকে প্রিন্সেপ ঘাটের দিকের অংশে। অভিযোগ উঠছে গত এক মাস ধরে কোনও আলো নেই।

সম্প্রতি এই জায়গাতেই দুর্ঘটনায় পড়েছিল একটি দূরপাল্লার বাস। ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক বাসযাত্রী। আহত হন ১৫ জন। পরে পুলিশ জানিয়েছিল, অন্ধকারের কারণেই বাসচালক ডিভাইডার দেখতে পাননি। কিন্তু তার পরেও প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ রাস্তায় কোনও আলো লাগানো হয়নি। যদিও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতর আলো না থাকার কথা অস্বীকারই করেছে।

নিত্যযাত্রীদের দাবি, রাস্তাটি এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অভিযোগ, শুধু বাস দুর্ঘটনাই নয়, এর আগেও এই রাস্তায় একাধিবার মোটরবাইক দুর্ঘটনায় পড়েছে। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বাবুঘাট কিংবা আকাশবাণী ভবনের পাশ দিয়ে আসার পরে স্ট্র্যান্ড রোডের এই অংশে একটি বড় বাঁক রয়েছে। তার উপর ডিভাইডার। ফলে বাস কিংবা যে কোনও গাড়িই যদি সামান্য বেশি গতিতে থাকে, এই অংশে এসে বাঁক নেওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। দিনের বেলা যেমন ঝুঁকি থাকে। তেমনই সন্ধ্যার পরে অন্ধকারের কারণে জায়গাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় আলো নেই কেন? রাজ্যের পূর্ত-দফতর এই রাস্তার দায়িত্বে রয়েছে। যদিও ওই দফতর রাস্তার ওই অংশে আলো না জ্বলার কথা অস্বীকার করেছে। ওই দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, রাস্তায় বাতিস্তম্ভ এবং আলো সবই রয়েছে। সমস্যা হল, রাস্তার দু’ধারে থাকা বড় বড় গাছগুলি। এই গাছের ডালপালাতে আলো ঢেকে যাওয়ায় রাস্তায় এসে পৌঁছচ্ছে না আলো। তিনি আরও জানান, বাতিস্তম্ভের আলো ছাড়াও ঠিক হয়েছে ওই রাস্তায় বড় কিছু বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। এতে একই সঙ্গে অনেকটা জায়গা জুড়ে আলো ছড়িয়ে পড়লে বর্তমানে যে সমস্যাটা রয়েছে তা মিটবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE