এক ব্যক্তির ছবি-সহ তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য লেখা পোস্টার দেওয়ার অভিযোগ উঠল মানিকতলায়। স্বপন কুন্ডু ওরফে বাবু নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, দলীয় অন্তর্কলহের জেরেই এ ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার এ নিয়ে মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বপন। পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। এ ভাবে আমার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।’’
মানিকতলার হরিশ নিয়োগী রোডে বাড়ি স্বপনের। তিনি কাউন্সিলরের অধীনে ১০০ দিনের কাজ দেখাশোনা করেন। সেই সঙ্গে হকার হিসেবেও কাজ করেন। তাঁর দাবি, গত বুধবার খবর পান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে তাঁর ছবি দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পোস্টার লাগানো হয়েছে তাঁর বাড়ির সামনেও। স্বপনের দাবি, এর জেরে তাঁর দুই ছেলে ও স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। বললেন, ‘‘ছোট ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। ওর স্কুলে যাওয়া আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে। কাউন্সিলরকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। নিজেরাও যতটা পেরেছি পোস্টার খুলেছি। কিন্তু কত জায়গায় খুঁজব!’’ কেন এই পোস্টার? স্বপনের দাবি, ‘‘দীর্ঘ দিন অমলদার সঙ্গে আছি। বিধায়ক সাধন পাণ্ডের গোষ্ঠী করি না বলেই এ ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।’’
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকায় কাউন্সিলর ও বিধায়ক গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। গত বছর এক সময়ে দু’পক্ষের সম্পর্ক কিছুটা ভাল হয়। কিছু অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে কাউন্সিলর এবং বিধায়ককে দেখা যেতে থাকে। তবে সম্প্রতি একটি পুরনো বাড়ির জমিতে প্রোমোটিং করবে কোন পক্ষ, তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। তার জেরেই এই পোস্টার বলে অভিযোগ।
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত কাউন্সিলর অমলবাবু বলছেন, ‘‘বাবু বহু দিন থেকে আমার সঙ্গে আছে। তাই আমারই দলের কিছু লোক ওকে এ ভাবে হেনস্থা করেছে। বিষয়টি দলে লিখিত ভাবে জানাব। পুলিশকে অনুরোধ, কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’ মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধনবাবু অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে বলছেন, ‘‘তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী নেই। ফলে গোষ্ঠী বিবাদেরও ব্যাপার নেই। কার বিরুদ্ধে কে পোস্টার দিয়েছে, সেটা পুলিশ খুঁজে বার করুক।’’ মানিকতলা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলছেন, ‘‘পোস্টারগুলো খুঁজে বার করে খোলা যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy