অবৈধ: এ ভাবেই চলছে জল টানা। রুবি মোড়ে। নিজস্ব চিত্র
এক দিকে যখন জল অপচয় রুখতে উদ্যোগী প্রশাসন, তখনই পাইপলাইনে লাগানো এয়ার ভাল্ভ থেকে চলছে জল চুরি। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
ইএম বাইপাস সংলগ্ন নোনাডাঙায় রাস্তার উপরেই পানীয় জলের পাইপে লাগানো রয়েছে এয়ার ভাল্ভ। সেখানেই আলাদা পাইপ লাগিয়ে বেআইনি ভাবে জল নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, জলের পাইপ ঠিক রাখতে এয়ার ভাল্ভ লাগানো হয়।
কিন্তু সেই ভাল্ভে ছিদ্র করে সেখান থেকে জল নেওয়া হচ্ছে। পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের আধিকারিকদের আশঙ্কা, এর ফলে মাঝেমধ্যে পাইপলাইন অকেজো তো হচ্ছেই। পাশাপাশি অল্প হলেও কিছুটা করে জল নষ্ট হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে বিকল্প হিসেবে তাঁরা এলাকায় স্ট্যান্ডপোস্ট তৈরি করে জল নেওয়ার কথা বলছেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, নোনাডাঙার মুখে একটি বড় জলাশয়ের ধারে রয়েছে এই এয়ার ভাল্ভ। ধাপা জল প্রকল্প থেকে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়, তা বিভিন্ন পাইপলাইনের মাধ্যমে ওই এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌঁছয়। এয়ার ভাল্ভের মাধ্যমে পানীয় জলের পাইপ ঠিক রাখা হয়। পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওই জলাশয়ের ধারে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরাই এয়ার ভাল্ভে ছিদ্র করে জল নেন।
কী ভাবে কাজ করে এই ভাল্ভ?
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক জানান, পাইপের মধ্যে থাকা হাওয়া বার করতে এয়ার ভাল্ভের প্রয়োজন। ভাল্ভের গায়ে ছিদ্র করে পাইপ বসালে হাওয়ার পাশাপাশি কিছু পরিমাণ জলও বেরিয়ে আসে। সেটাই ব্যবহার করেন সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দারা।
ওই বস্তিবাসীরা জানাচ্ছেন, এ ভাবে জল নেওয়া বন্ধ করতে তাঁদের কাছে বহু বার আবেদন জানিয়েছে পুরসভা। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য, ট্যাঙ্কারে করে অনেক সময়ে যে জল এলাকায় সরবরাহ করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এর উপরে কল বন্ধ করে দিলে জলসঙ্কট দেখা দেবে। কার্যত বাধ্য হয়েই তাঁরা তাই এমন পন্থায় পানীয় জল নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এয়ার ভাল্ভ থেকে জল চুরির অভিযোগ পেয়েছি। বিকল্প হিসেবে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে শীঘ্রই পরিকল্পনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy