প্রতীকী ছবি।
সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সোনা লুটের ঘটনা। ফুটেজে আরও দেখা গিয়েছিল, লুটপাট করার পরে লাল রঙের ‘বুলেট’ মোটরবাইকে চেপে পালাচ্ছে এক দুষ্কৃতী। ওইটুকু সূত্র ধরেই লুটেরাদের একটি দলকে গ্রেফতার করল চিৎপুর থানা। ধৃতদের নাম শান্তনু কাঁড়ার, চন্দন রাউত, মনোজিৎ মণ্ডল এবং ইয়াসির আক্রম।
সোমবার রাতে বালি স্টেশনের কাছ থেকে শান্তনু এবং চন্দনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধরা হয় বাকি দু’জনকে। এ দিন ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, চার জনকেই ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১২ নভেম্বর একটি গয়নার কারখানার কর্মীর কাছ থেকে প্রায় ৩০০ গ্রাম সোনা লুট হয়। দুষ্কৃতীরা এসেছিল আয়কর অফিসার সেজে। তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এক দুষ্কৃতীকে একটি লাল রঙের মোটরবাইকে চেপে পালাতে দেখা যায়। কিন্তু বাইকের নম্বর প্লেট ছিল অস্পষ্ট। এর পরে তদন্তকারীরা ওই সংস্থার ক’টি লাল রঙের মোটরবাইক গত কয়েক বছরে উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ার পরিবহণ দফতরে নথিভুক্ত হয়েছে, সেই তথ্য জোগাড় করেন। সেই তালিকা ধরে বাইকের মালিকের নাম খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, চিৎপুর এলাকার এক দাগি দুষ্কৃতী সম্প্রতি লাল রঙের ওই মডেলেরই বাইক কিনেছে। তার মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান দেখে পুলিশ জানতে পারে, লুটের দিন ঘটনাস্থলের কাছেপিঠেই ছিল সে। এর পরে বিশেষ সূত্র মারফত পুলিশ খবর পায়, লুটেরাদের দলটির সঙ্গে ওই দুষ্কৃতীর যোগ রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি তারা খবর পায়, চক্রের দুই সদস্য শান্তনু এবং চন্দন বালি স্টেশনের কাছে জড়ো হবে। সেই মতো চিৎপুর থানার একটি দল আশপাশে ওত পাতে। এক পুলিশকর্মী ব্যাগ হাতে ‘টোপ’ হিসেবে ওই রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে থাকেন। সেই ব্যাগ লুট করতে এসেই ধরা পড়ে যায় দু’জন।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্তনু ও চন্দন বালি এলাকার বাসিন্দা। মনোজিতের বাড়ি হাওড়ায়। ইয়াসির থাকে বর্ধমানে। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রটি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy