Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
KMDA

তিন মাস বেতন হয়নি পাম্প অপারেটরদের

কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ওঁরা বকেয়া পেয়ে যাবেন।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৭
Share: Save:

কেএমডিএ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হয় যে সব সমবায় সমিতির মাধ্যমে, সেখানকার পাম্প অপারেটরেরা গত জানুয়ারি মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাঁদের কারও হাতে টাকা না-থাকায় এই জরুরি পরিষেবা দিতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাম্প অপারেটরেরা।

কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘বিভিন্ন প্রশাসনিক কারণে বেতন পেতে দেরি হয়েছে। ওঁরা যাতে দ্রুত বকেয়া বেতন পান, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ওঁরা বকেয়া পেয়ে যাবেন।’’

সমবায় সমিতিগুলির সদস্যদের একাংশ জানান, তাঁরা অনেকেই শহরতলি বা আশপাশের জেলা থেকে আসেন। লকডাউনের ফলে তাঁরা পাম্পিং স্টেশনগুলিতেই রয়ে গিয়েছেন। বাড়ি ফিরতে পারছেন না। টাকা না-থাকার ফলে তাঁরা চরম সঙ্কটে পড়েছেন। এমনকি, লকডাউনের ফলে তাঁরা চলতি মাসের বকেয়া বিলও পাঠাতে পারেননি।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, কেএমডিএ এলাকার বিভিন্ন জায়গা, পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি (কেএমডব্লিউএসএ) পানীয় জল পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করত বহু দিন ধরেই। বর্তমানে কেএমডিএ–র সঙ্গে এই দফতরটি জুড়ে যাওয়ায় পানীয় জল সরবরাহের যাবতীয় বিষয় কেএমডিএ কর্তৃপক্ষই দেখভাল করেন।

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, আপাতত হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এই চারটি জেলায় ৪৭৮টি পাম্পিং স্টেশন চালায় সাতটি সমবায়। তাদের অধীনে মোট ৯৫৬ জন পাম্প অপারেটর কাজ করেন। পাম্প চালানো থেকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ পদ্ধতির সব কিছু দেখাশোনা করাই তাঁদের কাজ। সাতটি সমবায়ের মধ্যে চারটি সমবায় পানীয় জল সরবরাহ দেখভাল করে। বাকি সমবায়গুলি নিকাশি ও নিরাপত্তার কাজে কর্মী সরবরাহ করে। তাঁদেরও অসুবিধা হচ্ছে বলে সংগঠন জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMDA Salary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE