Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Raja Biscuit

বন্ধ বিস্কুট কারখানা, কর্মহীন প্রায় দু’হাজার

বি টি রোডের ধারে সোদপুর গির্জা মোড়ের কাছে অবস্থিত ওই কারখানায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

রাজা বিস্কুটের কারখানা।

রাজা বিস্কুটের কারখানা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪৯
Share: Save:

শ্রমিক অসন্তোষের জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল রাজা বিস্কুটের কারখানা। শুক্রবার কারখানার গেটে কাজ বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ।

কারখানাটি আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় হাজার দুই শ্রমিক। নতুন বছরের শুরুতে কাজ হারানোর প্রতিবাদে এ দিন কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখান ওই শ্রমিকদের একাংশ। তাঁদের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের বচসা বাধলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বি টি রোডের ধারে সোদপুর গির্জা মোড়ের কাছে অবস্থিত ওই কারখানায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার শ্রমিক কাজ করেন। অস্থায়ী শ্রমিকেরা বেশির ভাগই রয়েছেন ঠিকাদারের অধীনে। অভিযোগ, অস্থায়ী শ্রমিকদের ১৩ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। অনেক বার আবেদনের পরে কর্তৃপক্ষ পাঁচ মাসের বেতন দিয়েছেন। শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, নতুন যন্ত্র বসিয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ক্যান্টিনের খাবারের মানও খুব খারাপ বলে অভিযোগ তাঁদের। শ্রমিকদের দাবি, এ সব নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে বৃহস্পতিবার দুই কর্মীকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে বিবাদও বাধে তাঁদের।

তার পরেই এ দিন কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা দেখেন, ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে কারণ হিসেবে শ্রমিক অসন্তোষ ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিকেই দায়ী করেছেন কর্তৃপক্ষ। পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভায় সরকারপক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘কিছু বহিরাগত কারখানায় ঢুকে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে। তাতেই কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুনরায় কাজ চালুর জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Raja Biscuit Factory
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE