Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata Airport

নিয়ম ভাঙায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বিমানবন্দরে, রিপোর্ট দিল্লিতে

কলকাতা বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন এলাকার নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)।

অনিয়ম: নির্দিষ্ট এলাকা ছেড়ে কলকাতা বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন বে-তে এ ভাবেই ঢুকে পড়ে অন্য গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

অনিয়ম: নির্দিষ্ট এলাকা ছেড়ে কলকাতা বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন বে-তে এ ভাবেই ঢুকে পড়ে অন্য গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

সুনন্দ ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:০০
Share: Save:

কলকাতা বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন এলাকার নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। সেই নিয়ম লঙ্ঘনের রিপোর্ট সম্প্রতি দিল্লিতে পাঠিয়েছেন ডিজিসিএ-র কর্তারা।

বিমানবন্দরের ‘অ্যাপ্রন’ এলাকার মধ্যে রয়েছে বিমানের পার্কিং বে। একের পর এক দাঁড়িয়ে থাকা বিমানের চারপাশ দিয়ে সেখানে নির্দিষ্ট করা রয়েছে গাড়ি চলাচলের রাস্তা। যাত্রীবাহী বাস, স্টেপ ল্যাডার, টো-বার, দমকলের গাড়ি, বিমানে জ্বালানি ভরার গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স, যাত্রীদের মালপত্র ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ট্রেকার, উড়ান সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জিপ চলাচলের জন্য অ্যাপ্রন এলাকায় কিছু পথ আলাদা করা আছে। তা মাটিতে দাগ দিয়ে দেখানোও রয়েছে।

অভিযোগ, সম্প্রতি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন গাড়ি নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে অন্য জায়গা দিয়ে যাতায়াত করছে। এর জেরে যে কোনও দিন বিমান চলাচলের সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ, বিমান যাতায়াতের যে আলাদা লেন রয়েছে, সেখানেও ঢুকে পড়ছে কিছু গাড়ি।

ডিজিসিএ-র কর্তাদের দাবি, পার্কিং বে-তে বিমান এসে দাঁড়ানোর আগে, সেই জায়গা জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে রাখার নিয়ম। যাতে বিমান এসে দাঁড়ানোর সময়ে সেখানে বেশি নোংরা না থাকে। না হলে নোংরা ঢুকে বিমানের ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। অভিযোগ, সেই ধোয়ার কাজও নিয়ম মেনে করা হচ্ছে না। রাতে যে সব পার্কিং বে-তে বিমান সারানো বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলে, সেখানে পর্যাপ্ত আলো থাকার দরকার। কিন্তু, সে নিয়মও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

ডিজিসিএ-র এক কর্তার কথায়, ‘‘বিমানে জ্বালানি ভরার সময়ে আচমকা সেখানে আগুন লাগলে, জ্বালানির গাড়ি যাতে দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারে, তার জন্য নিয়ম অনুযায়ী ‘র‌্যাপিড ওয়ে’ থাকা দরকার। এখন কলকাতা বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন এলাকার যা অবস্থা, তাতে সেই রাস্তাও নেই।’’ সম্প্রতি বেশ কয়েক দিন ধরে তদন্ত চালিয়ে এই নিয়ম লঙ্ঘনের রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর।

অভিযোগ উঠেছে, গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট লেন মেনে যাত্রীদের নিয়ে বিমানের কাছে পৌঁছতে বেশি সময় লাগছে বলে অনেক সময়ে ‘শর্ট কাট’ করছেন কিছু চালক। অন্য অনেক গাড়ির চালকও এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই প্রবণতা রুখতে চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য উড়ান সংস্থাগুলিকে বারবার বলাও হচ্ছে। নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়ে নির্দিষ্ট চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তাতেও সমস্যা কমছে না।’’

ডিজিসিএ কর্তাদের পাল্টা অভিযোগ, বিমানের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে অ্যাপ্রন এলাকায় গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে। উড়ান সংস্থার মালপত্রও যে হারে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে বিমানের পার্কিং বে খালি করে মালপত্র রাখতে হবে। যত ক্ষণ না বিমানবন্দরের জায়গা বাড়ছে, এই সমস্যা চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Airport Airport Apron Area DGCA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE