বয়সের ভারে ঠিক মতো চলাফেরা করতে পারতেন না বৃদ্ধ বাবা। ঘরে বসেই সময় কেটে যেত। অপেক্ষায় থাকতেন কখন ছেলে, বৌমা খেতে দেবেন। কিন্তু খেতে দেওয়া দূর অস্ত্, উঠতে-বসতে বৃদ্ধকে লাঠি দিয়ে বৌমা পেটাতেন বলেই দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ ছিল প্রতিবেশীদের। ফের সেই ঘটনা ঘটতেই ক্ষোভে ফেটে
পড়েন পড়শিরা। শেষে পুলিশ এসে ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরের ঘোলা এলাকায়।
পুলিশ জানায়, ঘোলার সুনীত ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা তিয়াত্তর বছরের লক্ষ্মীকান্ত কর্মকার বার্ধক্যজনিত কারণে চলাফেরা করতে পারেন না। শারীরিক ভাবেও অসুস্থ। অভিযোগ, বৃদ্ধ শ্বশুরের শুশ্রূষার বদলে প্রতিনিয়ত তাঁর উপরে অত্যাচার করতেন বৌমা বৈশাখী কর্মকার। অভিযোগ, সব কিছু দেখেশুনেও চুপ করে থাকতেন ছেলে প্রবীর। প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, প্রবীরও মাঝেমধ্যে মারধর করতেন বৃদ্ধ বাবাকে।
এ দিন একই রকমের ঘটনা ফের ঘটলে তার প্রতিবাদ করেন দেবশ্রী বৈদ্য নামের এক প্রতিবেশী। অভিযোগ, কেন বৃদ্ধকে মারধর করা হচ্ছে তা নিয়েই বচসা শুরু হয় দেবশ্রীদেবী ও বৈশাখীর মধ্যে। অভিযোগ, আচমকাই বেশাখী লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন ওই প্রতিবেশীকে। আরও অভিযোগ, তখন কোনও মতে অশক্ত শরীর নিয়ে লক্ষ্মীকান্তবাবু বাধা দিতে এগিয়ে এলে তাঁকেও ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে পেটাতে শুরু করেন বৈশাখী। আর দাঁড়িয়ে সমস্ত ঘটনা দেখতে থাকেন প্রবীর। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন অন্য পড়শিরাও। তাঁরাই ওই বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। অন্য দিকে, বৈশাখী ও প্রবীরকে ঘরে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় ঘোলা থানায়। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy