যখন তখন ওলা-উবরের ভাড়া বৃদ্ধিতে লাগাম পরাল সরকার।
অ্যাপ ক্যাবগুলির যাত্রীদের জন্য সুখবর। কমতে পারে ওলা ও উবরের ভাড়া। সর্বোচ্চ হারে সারচার্জ বেঁধে দিয়ে দুই সংস্থার ক্যাবের ভাড়া অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এল রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতরের প্রস্তাব মতো সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ হারে সারচার্জের শর্তে দুই সংস্থার প্রতিনিধিরাই রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
এতদিন পর্যন্ত ওলা-উবরের ভাড়ায় সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সেই সুযোগ নিয়ে সংস্থাগুলিও খেয়ালখুশি মতো যখন-তখন ভাড়া বাড়িয়ে দিত। বেশি চাহিদা হলেই ভাড়া বেড়ে যেত দেড় থেকে তিন গুণ পর্যন্ত। যাত্রী সাধারণের এই ক্ষোভের আঁচ পেয়েই রাজ্য সরকার ভাড়ায় রাশ টানতে উদ্যোগী হয়। দুই সংস্থাকে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠির উত্তরেই দুই সংস্থার তরফে জানানো হয়, ভাড়ার উপর দেড় থেকে তিন গুণ পর্যন্ত সারচার্জ বসায় তারা।
এরপর বুধবার কসবার পরিবহণ ভবনে দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, মূল ভাড়ার উপর কোনও পরিস্থিতিতেই ৪৫ শতাংশের বেশি সারচার্জ নেওয়া যাবে না। দুই সংস্থার প্রতিনিধিরাও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। পাশাপাশি কত ভাড়া এবং কত সারচার্জ, ৪৫ শতাংশের বেশি সারচার্জ নেওয়া হয়েছে কিনা, তার বিস্তারিত তথ্য প্রতি মাসে পরিবহণ দফতরকে রিপোর্ট দেবে দুই সংস্থা। যদিও ওই দুই সংস্থার প্রতিনিধিরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি।
আরও পড়ুন: সরকারের চাপে মাথা নোয়ালো যাদবপুর, ভর্তি নম্বরের ভিত্তিতেই
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ দিনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই সংস্থা রাজ্য সরকারের ৪৫ শতাংশ সর্বোচ্চ সারচার্জের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।’’
কিন্তু তাতে কি যাত্রীভাড়া কমবে? অ্যাপ ক্যাবগুলিতে মূল ভাড়ার উপর একটি সারচার্জ নেয় সংস্থাগুলি, যার উপর এত দিন কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ঝড়-বৃষ্টি বা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে বা উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় মূল ভাড়া এক রেখে নিজেদের ইচ্ছেমতো সারচার্জ বাড়িয়ে দিত সংস্থাগুলি। পরিবহণমন্ত্রীর দাবি, সেই সারচার্জ আর ৪৫ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না সংস্থাগুলি। ফলে ভাড়া কমতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে নিলে যখন তখন আর ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারবে না সংস্থা দু’টি।
আরও পড়ুন: ভর্তি দুর্নীতির ধাক্কা, টিএমসিপি সভানেত্রী জয়াকে সরিয়ে দিলেন মমতা
এ দিনের বৈঠকে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে বলা হয়েছে, চালকদের অতীতে কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে কিনা, তা জানতে ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ করাতে হবে। সংস্থার পাশাপাশি পুলিশের কাছেও চালকদের তথ্য থাকবে, যাতে কোনও অঘটন ঘটলে চালকদের সম্পর্কে দ্রুত তথ্য পেতে পারে পুলিশ।
এর পাশাপাশি পথ নিরাপত্তা বাড়াতে আরও বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতরের নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেনা যাবে না মোটরবাইক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy