বিক্ষোভ সামাল দিতে হাজির পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল সাউথ সিটি কলেজ। ৬০ শতাংশ হাজিরা না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা। পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে গোলপার্কের মোড়ে পথ অবরোধ চলছে। গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে রবীন্দ্র সরোবর থানা ছাড়া, আশপাশের আরও কয়েকটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। একদিকে যখন দক্ষিণ কলকাতার কলেজে পরীক্ষায় বসা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তাল, তখন অন্যদিকে উল্টোডাঙায় গুরুদাস কলেজেও একই ইস্যুতে ইউনিয়ন রুমে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, ইউনিয়নের দাদারা পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। হাজিরা না থাকলেও অসুবিধা হবে না। কিন্তু এখন কলেজ পরীক্ষায় বসতে দিচ্ছে না।
গুরুদাস কলেজের মতো হেরম্বচন্দ্র কলেজের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রায় চারশো জনের হাজিরা ৬০ শতাংশের কম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা কেউ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই বিষয়টি জানার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। তাঁরা দাবি জানান, যে কোনও উপায়ে তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।
কিছুদিন আগে হাজিরা এবং তোলাবাজির অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বেহালা কলেজ। শেষ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যেতে হয়েছিল কলেজে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কলেজে ন্যূনতম হাজিরা না থাকলে কাউকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাস করতে হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কলেজে কলেজে এ নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভ চলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম জড়়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ‘কড়া বার্তা’ দিতেই অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের ম্যাপে রেখেছিল চিনা মিডিয়া?
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে কয়লাখনি বন্টনে দুর্নীতি, দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কয়লা সচিব
টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় বসিয়ে দেওয়ার যেমন অভিযোগ উঠেছে। তেমনই ঠিকমতো হাজিরা নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন হেরম্বচন্দ্র কলেজের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীন সাদা কাগজে হাজিরা নিয়ে যেতেন অধ্যাপকেরা। পরে তা হাজিরার খাতায় তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, বহু ছাত্রের হাজিরা দেওয়া হয়নি। না হলে চারশো থেকে সাড়ে চারশো পড়ুয়া ক্লাস করেনি এটা হতে পারে না। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy