Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
বাঘা যতীন

ফাঁকা বাড়িতে চুরি টাকা-গয়না

ছেলের সঙ্গে দেখা করতে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন বাঘাযতীন স্টেশন রোডের প্রৌঢ় সাহা দম্পতি। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের সাহায্যে ছিটকিনি ভেঙে দরজা খুলে দেখা যায় গয়না, টাকা-সহ একাধিক সামগ্রী লোপাট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৫:৪২
Share: Save:

ছেলের সঙ্গে দেখা করতে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন বাঘাযতীন স্টেশন রোডের প্রৌঢ় সাহা দম্পতি। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের সাহায্যে ছিটকিনি ভেঙে দরজা খুলে দেখা যায় গয়না, টাকা-সহ একাধিক সামগ্রী লোপাট। শনিবার সকালেই গৃহকর্তা তপন সাহা যাদবপুর থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী তপনবাবু বলেন, ‘‘দোতলার শৌচাগারের গ্রিল কেটে জানলা ও দরজা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল।’’ তিনি জানান, দু’টি আলমারি থেকে কয়েক ভরি সোনা, রুপোর গয়না-সহ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা লোপাট করেছে দুষ্কৃতীরা।

স্ত্রী স্মৃতিকণা সাহাকে নিয়ে ওই বাড়িতে ১৬ বছর বাস করছেন তপনবাবু। স্মৃতিকণাদেবী বলেন, ‘‘২০০৬ সাল থেকে ছেলে চাকরিসূত্রে বাইরে থাকে। তখন থেকেই বাড়ি বন্ধ করে মাঝেমধ্যেই বাইরে যাই। এমন ঘটনা এই প্রথম।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহা দম্পতির বাড়িতে তিন জন পরিচারিকা কাজ করেন। দু’জনের বাড়ি ক্যানিং, অন্য জন বারুইপুরের বাসিন্দা। শনিবার দু’জন পরিচারিকা এলেও এক জন আসেননি। পুলিশের অনুমান, চুরির ঘটনায় পরিচারিকা জড়িত থাকতে পারেন। দুই পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্য পরিচারিকার সন্ধান চলছে।

শহরের সংযুক্ত এলাকায় সম্প্রতি বারবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। মাস কয়েক আগে যাদবপুর, হরিদেবপুর, পাটুলি-সহ একাধিক জায়গায় চুরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় রাতে পুলিশি টহল চোখে পড়ে না।’’ যদিও এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘শহরের সর্বত্র রাতে যথাযথ পুলিশি টহল থাকে। বাঘা যতীন স্টেশন রোডের চুরির ঘটনায় সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Baghajatin theft
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE