Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
medical

পরিচয়পত্র ‘বাঁধা’ রাখলে তবেই ট্রলি পান রোগী

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘ট্রলি বুথ’। নিজস্ব চিত্র

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘ট্রলি বুথ’। নিজস্ব চিত্র

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৪২
Share: Save:

রোগীকে নিয়ে গাড়ি চলে আসছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে। সঙ্গে থাকা পরিচিত বা পরিজন চলে যাচ্ছেন ট্রলি বুথে। সেখানে ভোটার কার্ড কিংবা আধার কার্ডের মতো সচিত্র পরিচয়পত্র জমা দিয়ে ট্রলি নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। রোগী ভর্তি করানোর পরে ট্রলি ফেরত দিলে তবেই আবার ফেরত পাওয়া যাচ্ছে জমা রাখা সেই পরিচয়পত্র। রোগীকে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ট্রলি ব্যবহারের একই নিয়ম।

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হয়েছে ‘ট্রলি বুথ’। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উল্টো দিকেই রয়েছে পুলিশ আউটপোস্ট। তার পাশেই তৈরি হয়েছে এই বুথ। সেখানেই সার দিয়ে রাখা ট্রলি। হাসপাতালের দু’জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন এক পুলিশকর্মীও। তার পরেও ট্রলির নিরাপত্তার জন্য রোগী কিংবা পরিজনের পরিচয়পত্র জমা রাখতে হচ্ছে।

ট্রলি পরিষেবার এই নতুন নিয়মকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ডের মতো পরিচয়পত্রে ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। কেন সেই তথ্য হাসপাতালের ট্রলি ব্যবহারের জন্য জমা দিতে হবে? ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা কতখানি বজায় থাকবে, উঠেছে সে প্রশ্নও।

আরও পড়ুন: তালা ভেঙে মশা দমনে ‘না’ কাউন্সিলরদের

যদিও হাসপাতালের পাল্টা যুক্তি, রোগীর বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য হাসপাতালে থাকে। পরিচয়পত্র জমা রাখলে তার গোপনীয়তাও বজায় থাকবে! স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, ট্রলি নিয়ে বেআইনি ব্যবসা রুখতে ও পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে বছরখানেক আগে এসএসকেএম হাসপাতালেও ট্রলি পাওয়ার একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগী আসার পরেই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ট্রলি পাওয়া যেত। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর পরিজনেরা ট্রলি নিয়ে চলে গেলেও তা ফিরিয়ে আনতেন না। তাই ভাবা হয়েছে, পরিচয়পত্র জমা রাখলে সেই সমস্যা এড়ানো যাবে। পাশাপাশি ওই কর্তা জানান, রোগীর একাধিক গোপন তথ্য হাসপাতালের কাছেই থাকে। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা ওয়াকিবহাল। তা নিয়ে সমস্যা হবে না।

ন্যাশনালের সুপার সন্দীপ ঘোষের যুক্তি, পরিচয়পত্র জমা রাখা হলে ট্রলি ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা দায়বদ্ধতা থাকে। রোগীর কিংবা তাঁর কোনও পরিজনের ব্যক্তিগত তথ্য ও নথি জমা রাখলে সেটি সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব হাসপাতালের। রোগীর সঙ্গে থাকা পরিজন যদি প্রবীণ নাগরিক কিংবা মহিলা হন, তা হলে সেই রোগীর জন্য বিশেষ ট্রলি-পার্সনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘পরিষেবা নিয়ে হাসপাতাল যথেষ্ট তৎপর। তাই ব্যক্তিগত তথ্য নিয়েও একই রকম সতর্ক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE