Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

এক বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের পাশ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

মহারাজা হালদার

মহারাজা হালদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২৭
Share: Save:

এক বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের পাশ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম মহারাজা হালদার (৩৬)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানা এলাকার মথুরাপুরে। খুনের একটি মামলায় অভিযুক্ত ছিল মহারাজা। জেল হেফাজতে ওই বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত
পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পরিজনেদের অভিযোগ, মহারাজকে খুন করা হয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কারা দফতরের ডিজি অরুণ গুপ্ত জানান, এক জন ডিআইজিকে পুরো ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ময়না-তদন্তের রিপোর্টের জন্যও অপেক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার জেল হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর শয্যার কাছে গলায়
গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় জানলার রেলিং থেকে মহারাজের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ
দিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার দেহের সুরতহাল করা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই বন্দির ডান হাতে একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার কাছেই পাওয়া গিয়েছে ব্লেডের ভাঙা টুকরো। যা থেকে পুলিশের অনুমান, হাতের শিরা কেটে প্রথমে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মহারাজা।
পুলিশ সূত্রের খবর, একবালপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে রায়দিঘির বাসিন্দা এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। তদন্তে জানা যায়, ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মহারাজা। সেই বছরের ৬ অগস্ট তাকে গ্রেফতার করে লালবাজার। তখন থেকে জেলেই ছিল সে। মহারাজের আইনজীবী শিবু বিশ্বাস জানান, আলিপুর আদালতে এই মামলার বিচার চলছিল। মহারাজের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে বেসরকারি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানোর জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল আগামী ৮ মে।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস যাবৎ মহারাজা অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসা চলছিল। চলতি বছরের মার্চে তাকে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। ১৮ এপ্রিল সেখান থেকে ছাড়া পায় মহারাজা। পরের দিন ফের তাকে ভর্তি করা হয় প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে। মহারাজের দাদা ভূপাল হালদার অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ভাইয়ের মৃত্যু হলেও পুলিশের তরফে সেই খবর তাঁদের রাতে জানানো হয়েছে। এ দিন ময়না-তদন্তের পরে মহারাজের দেহ নিয়ে যান বাড়ির লোকজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE