মুখোমুখি: বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে হাতাহাতি এক পুলিশকর্মীর। বুধবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের কার্যত ‘চোর-পুলিশ’ খেলা চলল।
দিন দুয়েক আগে মেটিয়াবুরুজে এক আরএসএস সমর্থকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু করার কথা ছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের। পুলিশের কাছে ওই মিছিলের অনুমোদন না থাকায় শিয়ালদহে মিছিল আটকানোর জন্য মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, শিয়ালদহের পরিবর্তে নীলরতন সরকার মে়ডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করেন ওই মঞ্চের সদস্যরা। মৌলালি মোড় পেরিয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড পেরোতেই মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এর পরে মিছিলকারীদের কয়েক জন আশপাশের গলিতে ঢুকে ছুটতে শুরু করেন। পিছু নেয় পুলিশও। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলের সামনে ফের ওই সংগঠনের সদস্যেরা জড়ো হন। সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাও। অভিযোগ, অনুপম-সহ প্রায় ৩০ জন মিছিলকারীকে পুলিশ জোর করে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। অনুপমকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময়ে তাঁর নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। লালবাজারের তরফে মিছিলকারীদের উপরে লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মিছিলের জন্য আগে থেকে আবেদন করা হয়নি বলেও লালবাজার জানিয়েছে। তিন জায়গা থেকে মোট ১১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আগাম অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মিছিল করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অনুমতি থাকা সত্ত্বেও শিয়ালদহে মিছিলের জন্য জমায়েতই করতে দেয়নি পুলিশ। কোনও কারণ ছাড়াই ধরপাকড় শুরু করে। প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরাকে পুলিশ শারীরিক নিপীড়ন করেছে। এটা কোনও সভ্য দেশে চলতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy