আর ক’দিন পরেই চালু হয়ে যাবে বাগুইআটি উড়ালপুল। ভিআইপি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানজট কমাতেই তৈরি হয়েছে এটি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে শুধু একটি উড়ালপুল কি ওই রাস্তায় যানজট সমস্যাকে একেবারে নির্মূল করতে পারবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, উড়ালপুলের সঙ্গে ভিআইপি রোড সংলগ্ন সার্ভিস রোড তৈরির কাজও শেষ হওয়া দরকার ছিল। না হলে উড়ালপুল থেকে গাড়ি ভিআইপি রোডের যে অংশে নামবে, সেখানে নতুন করে যানজট তৈরির সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে।
বাগুইআটি জোড়ামন্দির থেকে কেষ্টপুর পর্যন্ত যানজট নিত্যদিনের ছবি। কেষ্টপুরের যানজট প্রায়ই চলে যায় বাঙুর পর্যন্ত। বাগুইআটির যানজট চলে যায় তেঘরিয়া অবধি। যানজটের জন্য বিমান ধরতে না পারার ঘটনাও নতুন নয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বামফ্রন্টের আমলেই বাগুইআটি থেকে কেষ্টপুর পর্যন্ত উড়ালপুল তৈরির দাবি উঠেছিল। তখন উড়ালপুল তৈরির অনুমোদন মিললেও কাজ শুরু হয়নি। শেষে ২০১২ সালে তৃণমূলের আমলে উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়।
রাজারহাট পুরসভার এক বাস্তুকার জানান, উড়ালপুলের দু’প্রান্তে যেমন গাড়ি নামবে-উঠবে, তেমনই উড়ালপুলের নীচের রাস্তা দিয়েও গাড়ি আসবে। ফলে রঘুনাথপুর ও দমদম পার্কে গাড়ির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এর জেরে ওই দুই এলাকায় যানজটের আশঙ্কা প্রবল। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগে শহরের যে সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানজট এড়াতে উড়ালপুল হয়েছে, দেখা গিয়েছে সেই অংশের যানজট কাটলেও অন্যত্র যানজট হয়েছে। তাই উড়ালপুল তৈরির সময়ে এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে পূর্ত দফতর ঠিক করেছিল, ভিআইপি রোডে যানজট কমাতে দরকার আমূল পরিবর্তন। শুধু উড়ালপুল নয়, ভিআইপি রোড জুড়েই প্রয়োজন সার্ভিস রোড, চওড়া রাস্তা।
উড়ালপুলের পাশাপাশি ওই এলাকায় তিনটি আন্ডারপাসও হয়েছে। ফলে বাগুইআটি-কেষ্টপুরের ছবি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও উড়ালপুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সত্য বসু বলেন, “কাজ প্রায় শেষ। শুধু বিদ্যুতের তার লাগানো, কয়েকটি জায়গায় রেলিং বসানো ও সৌর্ন্দযায়নের কিছু কাজ বাকি। এই মাসের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাবে। আগামী মাসে উড়ালপুল চালু করে দিতে পারব।” এলাকার বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও বলেন, “উদ্বোধনের দিন এখনও ঠিক না হলেও আশা করা যায় আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন হয়ে যাবে।”
তবে উড়ালপুলের কাজ শেষ হলেও কয়েকটি জায়গা ছাড়া সার্ভিস রোড তৈরির কাজই শুরু হয়নি। কিছু রাস্তা চওড়া হয়েছে। উড়ালপুলের রঘুনাথপুরের দিকে রাস্তা বেশ চওড়া ও কিছু অংশে সার্ভিস রোড থাকলেও তেঘরিয়ার পরে বিমানবন্দর পর্যন্ত বহু জায়গায় সার্ভিস রোড তৈরি হয়নি। দমদম পার্ক থেকে বাঙুর পর্যন্তও সার্ভিস রোড নেই। তাই ইঞ্জিনিয়ারদের আশঙ্কা, এ বার যানজট হবে তেঘরিয়া, দমদম পার্ক ও লেকটাউনে। যদিও পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের আশ্বাস, বেশ কয়েকটি জায়গায় সার্ভিস রোডের কাজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy