বছরখানেক আগে কলেজে ভর্তি হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখন ধরা পড়েছে, তাঁদের জমা দেওয়া শ্রেণি শংসাপত্র (কাস্ট সার্টিফিকেট) ভুয়ো। এর জেরে ভর্তি বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রথম বর্ষের ওই ১৬ জন পড়ুয়ার। ঘটনাটি জয়পুরিয়া কলেজের। আরও পড়ুয়া যদি জাল শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি হয়ে থাকেন তা হলে তাঁদের বহিষ্কার করতে হবে এই দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের আটকে বিক্ষোভ দেখান একদল ছাত্র। না হলে ওই ১৬ জনকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা।
অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় জানান, আপাতত ওই ক’জনের শংসাপত্র জাল বলে ধরা পড়েছে। পরে এমন আরও পড়ুয়ার সন্ধান মিললে তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলেজ সূত্রের খবর, সকাল, দিবা ও সান্ধ্য বিভাগ মিলিয়ে গত বছর প্রথম বর্ষে সংরক্ষিত আসনে মোট ৪০০ পড়ুয়া ভর্তি হন। কিন্তু অনেকের শংসাপত্র জাল বলে সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। পড়ুয়াদের বড় অংশও শংসাপত্র খতিয়ে দেখার দাবি জানান। কলেজ সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত ১৭৫টি শংসাপত্র পরীক্ষা হয়ে এসেছে, তার মধ্যে ১৬টি জাল। উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের প্রতি নরম মনোভাব নেওয়া যাবে না। তার পরেই ওই ১৬ জনের ভর্তি বাতিল করে কলেজ। সংরক্ষিত আসনের বাকিদের শংসাপত্র পরীক্ষা চলছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই পড়ুয়ারা তো গত জুলাই-অগস্টে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়াল কী করে? অধ্যক্ষ বলেন, “শংসাপত্র চোখে দেখে ঠিক বা ভুল বলে ধরা যায় না। পরে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখি। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-কর্তৃপক্ষ কেউই এ অনিয়ম মানবেন না।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিষয়টি জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। সেখান থেকেও কড়া হাতে দুর্নীতি বন্ধের বার্তা দেওয়া হয়েছে। সোমবার কলেজে পার্ট ওয়ানের ভাষা পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া নিয়মে পরীক্ষাটি এখন সংশ্লিষ্ট কলেজই নেয়। পরীক্ষায় বসার জন্য ‘প্রভিশনাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট’ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেই শংসাপত্র নিয়ে যাঁরা পরীক্ষায় বসবেন, তাঁদের মধ্যে কেউ জাল শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে পরে প্রমাণিত হলেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy