শিল্পী পরিতোষ সেন: সৃষ্টির রূপরেখা
মনসিজ মজুমদার
৩৫০.০০
কারিগর
বিশ শতকের চল্লিশের দশকটি ভারতীয় কলা ইতিহাসের ‘আধুনিকতাবাদী যুগ’। এই যুগকে যাঁরা নিজেদের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তাঁদের অন্যতম পরিতোষ সেন। তবে, শুধু সেই দশকের আলোয় নয়, বরং শিল্প-ইতিহাসে এই শিল্পীর বিশিষ্ট স্থানটি সন্ধানের চেষ্টা করেছে বইটি। ছ’টি প্রবন্ধে পরিতোষবাবুর শিল্পীজীবন ও তাঁর সৃষ্টিসূত্রের একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে এখানে। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও শিল্পী হওয়া, ১৯৪১-এ প্রথম ছবি এঁকে ২৫ টাকা রোজগার ইত্যাদি নানা গল্প, এমনকি ৮৮ বছর বয়সে এক বছরে ৮৮টি ছবি আঁকার মতো চমকপ্রদ তথ্যের সন্নিবেশ হয়েছে ‘ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধে। পাশাপাশি, পরিতোষবাবুর ছবি আদর্শ কোন খাতে বয়েছে, তারও সন্ধান রয়েছে। প্রথম পর্বে স্বদেশিয়ানা, ‘বেঙ্গল স্কুল’ আঙ্গিকে ছবি আঁকা, তার পর বিলিতি ঐতিহ্যকে নিংড়ে দেখা এবং ১৯৪৩-এ সহশিল্পীদের সঙ্গে ভারতের প্রথম শিল্পীগোষ্ঠী ‘ক্যালকাটা গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা, বেঙ্গল স্কুলের সঙ্গে ‘পোস্ট-ইমপ্রেশনিজ়ম’ আঙ্গিকের মেলবন্ধন ঘটানো— পরিতোষবাবুর ছবির বিবিধ বিবর্তনের চলনটি গ্রন্থলেখক ধরতে চান। প্যারিসে গিয়ে সমসময়ের শিল্প-শিক্ষায় শিক্ষিত এই শিল্পীর সাক্ষাৎ হয়েছিল পাবলো পিকাসো, কনস্টানটিন ব্রঙ্কুশ-এর সঙ্গে। পরিতোষবাবুর ছবির মূল সূত্র আঙ্গিকের সঙ্গে যে জনজীবনও, তা-ও পরিষ্কার হয় বইটি থেকে। আসে তাঁর ছবির নাগরিক চেতনার প্রসঙ্গও। ছবির জগতের সঙ্গে লেখালিখির ক্ষেত্রে পরিতোষবাবুর ভূমিকাটিরও খোঁজ করা হয়েছে এই বইয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন পরিতোষবাবুর নিজের লেখা এবং তাঁকে নিয়ে লেখাপত্রের তালিকাটি।
বন্ধ দরজার টান
মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস
১০০.০০
কমলিনী