Advertisement
E-Paper

সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর নালিশ, ধৃত যুবক

‘গ্রামে জঙ্গি ঢুকে পড়েছে’— সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে অশোকনগর থানা ১/৩ কালোবাড়ি এলাকা থেকে সজল মণ্ডল নামে ওই যুবক ধরা পড়ে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে সব গুজব ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:২৬

‘গ্রামে জঙ্গি ঢুকে পড়েছে’— সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে অশোকনগর থানা ১/৩ কালোবাড়ি এলাকা থেকে সজল মণ্ডল নামে ওই যুবক ধরা পড়ে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে সব গুজব ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবক হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন লোকজনকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানিয়েছিল, ‘‘বন্ধুরা সকলে সাবধান, তোমাদের গ্রামে জঙ্গি ঢুকে পড়েছে। কাল কলাসীমা থেকে তিন জঙ্গি ধরা পড়েছে। আজ দুপুরে নলকুড়া থেকে এক মহিলা ধরা পড়েছে। বিকেলে বামনগাছির এক বাড়ি থেকে ছ’জন ধরা পড়েছে। ওদের বেশি টার্গেট বাড়ির মেয়ে-বৌদের প্রতি।’’ এই আপত্তিকর ম্যাসেজ আবার সকলকে ফরওয়ার্ড করার আবেদনও জানিয়েছিল সজল। কেন সে এমন পদক্ষেপ করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।

দিন কয়েক হল উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ‘বোরখা পরা ছেলেধরা’ কিংবা ‘জঙ্গি’ বেরিয়েছে— এই গুজবের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কোথাও মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে চোর সন্দেহে গণপিটুনি দিচ্ছে মানুষ, কোথাও ভিক্ষে করতে বেরিয়ে ‘ছেলেধরা’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে মহিলাকে। তার কপালেও জুটেছে মার। মহিলাকে উদ্ধার করতে গিয়ে জনতার হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রহৃত হন পুলিশ কর্মীরা। কালনায় তো গুজবের জেরে গণপিটুনির ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে গিয়েছে নিরাপরাধ এক ব্যক্তির। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার ছবি দেখে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। ভিডিও দেখে পুলিশ কর্তারা বিস্মিত, কী ভাবে শিক্ষিত যুবকেরাও স্রেফ গুজবে কান দিয়ে একটা জলজ্যান্ত মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে!

পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সচেতন করা হচ্ছে, কেউ যেন গুজব না ছড়ান। ধরা পড়লে আইনগত পদক্ষেপ করা হবে। এ নিয়ে মাইকে প্রচার চলছে জায়গায় জায়গায়। কয়েক বছর আগে বসিরহাটেও ‘ছেলেধরা’ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল। সে বারও অকারণে সন্দেহের বশে মারধর করা হয় কয়েকজনকে। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কারা কী উদ্দেশে এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, তা খুঁজে বের করতেই হবে। না হলে আরও নিরীহ লোকের প্রাণ যাবে। মানুষকে সচেতন করতে আমরা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’ অশোকনগর থেকে ধৃত যুবক স্রেফ মজা করতেই গুজব ছড়াচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার দাবি কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ ধরনের মজা যে কারও প্রাণ নিতে পারে, সে বোধটুকু নেই মানুষের। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’

কচ্ছপ উদ্ধার। কচ্ছপ পাচারের সময়ে হাতেনাতে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ভোরে স্বরূপনগর থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম দীপক দাস ও শ্যামল দেবনাথ। দীপকের বাড়ি গাইঘাটার চন্দ্রঢাকুড়িয়ায়। শ্যামল থাকে হাবরায়। ২৬ জানুয়ারি উপলক্ষে এ দিন ওই এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছিল। সে সময়ে লবণগোলা মোড়ে সন্দেহজনক একটি গাড়ি আটক করে পুলিশ। তল্লাশির সময়ে সেখান থেকে ৬২০টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়। কচ্ছপগুলি বসিরহাটের বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, শনিবার রাতে বসিরহাটে গরু পাচারের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে প্রায় ১৮০টি গরুও।

Social media WhatsApp
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy