সাবধানে-পা: ছবি তুলেছেন দিলীপ নস্কর
কাঠের পাটাতন উঠে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে রেলিংও। নীচের কাঠের বিমগুলি নড়বড় করছে। কুলপির রামকি পঞ্চায়েতে কাটরা মনোহরপুর ও কালীতলা সংযোগ কাটরা খালের উপরের সাঁকোটির এই অবস্থা।
সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ি আগে প্রায় ৪৫ ফুট চওড়া খালের উপরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার চলত। মানুষের নিত্য পারাপারের প্রয়োজনে সেচ দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতি থেকে কাঠের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। তারপরে কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। কিন্তু এত দিনেও সংস্কার না হওয়ায় সাঁকোর এই দশা হয়েছে।
কুলপি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই এলাকায় বেশ কয়েকটি সাঁকো বেহাল। পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে অস্থায়ী ভাবে পারাপারের জন্য সংস্কার করে দেওয়া হয়েছিল। পাকাপাকি ভাবে সংস্কারের জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে।
ওই সেতু দিয়ে রামকিশোর পঞ্চায়েতের হিমসিম বেড়িয়া, জেলেপাড়া, কালীতলার বাসিন্দা ছাড়া হুগলি নদী-লাগোয়া ইটভাটার কয়েক হাজার শ্রমিক নিত্য পারাপার করেন। শনি-মঙ্গলবার শ্যামবসুরচক হাট বসে। অনেকেই ওই সাঁকো পেরিয়ে হাটে যান। সেতুর কাছে একটি স্কুলও আছে। ওই স্কুলের কচিকাঁচারাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয়। সাঁকোতে আলোর ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাঁকোটি দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। যে কোনও দিন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কালীতলা গ্রামের বাসিন্দা খেলাফত শেখ, বিজয়কুমার আড্ডিদের অভিযোগ, বেহাল সেতুর কারণে স্কুলের কচিকাঁচাদের মায়েরা বাধ্য হয়ে কোলে করে স্কুলে দিয়ে যান। কৃষি প্রধান এলাকা। কিন্তু ওই নড়বড়ে সাঁকোর জন্য বাসিন্দারা আনাজের গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না।
বাসিন্দারা জানান, মাস কয়েক আগে ওই সাঁকো সংস্কারের জন্য মাপজোক করা হয়েছিল। ওই পর্যন্তই। তারপরে আর কাজ এগোয়নি।
রামকিশোরপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জগন্নাথ হালদার বলেন, ‘‘সাঁকো সংস্কারের জন্য সেচ দফতরকে জানানো হয়েছিল। এলাকার কুলপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মমতা মণ্ডল বলেন, ‘‘সেতুটি নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণে একাধিকবার পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় বিধায়ককে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy