রাস্তা সংস্কার এবং যাত্রী শেডের দাবিতে ট্রেন অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল করঞ্জলির দুই গ্রামবাসীকে। সোমবার সকালে স্টেশনে প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ করেন ওই এলাকার কিছু মানুষ। পরে রেল পুলিশ এবং পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। অবরোধের জেরে কিছু ক্ষণ আটকে পড়ে শিয়ালদহগামী একটি ট্রেন।
করঞ্জলি স্টেশন থেকে করঞ্জলি রেলগট পর্যন্ত প্রায় আধ কিলোমিটার রাস্তায় পিচের পরত পড়েনি দীর্ঘদিন। বর্ষা এলে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন বলে অভিযোগ করঞ্জলি পঞ্চায়েত এলাকার নিত্যযাত্রীদের। গ্রেফতার হওয়ার পরে করঞ্জলির ব্যবসায়ী সদানন্দ ঘোষ বলেন, ‘‘একেই সরু রাস্তা। তার উপরে বাজার বসে যায়। রোজ যাঁরা যাই, তাঁদের অসুবিধা অনেক। রেল কর্তৃপক্ষের কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই। আমরা এর আগে বিষয়টি ডিআরএমকে জানিয়েছি। গত ২০ মার্চ শেষ চিঠি দেওয়া হয় তাঁর দফতরে।’’ গ্রেফতার হয়েছেন সলিল বৈদ্যও। তাঁদের কয়েক জনের বক্তব্য, স্টেশনে যাত্রী শেডও নেই। শৌচাগারের অবস্থা করুণ। এ সবের বিহিত চেয়ে বার বার ডিআরএম (শিয়ালদহ)-র দফতরে চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। এ দিন বাধ্য হয়ে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, সব থেকে বেশি অসুবিধা হয় অফিস টাইমে। এই সরু রাস্তা দিয়ে স্টেশনে পৌঁছতে গিয়ে অনেক সময়ে ট্রেন মিস করতে হয়।
কুলপি থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়া, ট্রেন অবরোধ করার অপরাধে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘খুব বেশি ক্ষণ অবরোধ হয়নি। কোনও ট্রেন বাতিলও করতে হয়নি। যাত্রীদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় আমরা দেখছি।’’
টাকা উদ্ধার। এক ব্যবসায়ীর ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ইটিন্ডা থেকে চুরি হওয়া টাকা থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার হদিশ মেলে। ধৃত ৪ জনকে জেরা করেই এই টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ জানায়, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি স্বরূপনগরের ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল গাজি নামে এক ব্যক্তির টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy