Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কাটা পড়ছে গাছ

মাতলা নদীর তীরে এই পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল ছিল গাছ ঘেরা এই রাস্তা। 

রাস্তার পাশে এ ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। ছবি: সুমন সাহা

রাস্তার পাশে এ ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। ছবি: সুমন সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলতলি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০১:১৪
Share: Save:

দু’পাশে গাছের সারি। মাঝে দীর্ঘ রাস্তা। সড়কপথে কৈখালি যেতে গেলে পেরোতে হত এরকম মনোরম পথ। মাতলা নদীর তীরে এই পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল ছিল গাছ ঘেরা এই রাস্তা।

কিন্তু রাস্তা চওড়া করার জন্য কাটা পড়ছে রাস্তার দু’ধারের বহু গাছ। কুলতলির জামতলা বাজার থেকে কৈখালি পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে জোর কদমে। মূলত আরও বেশি সংখ্যায় পর্যটন টানতেই চওড়া হচ্ছে রাস্তা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এত গাছ কাটা নিয়ে।

বারুইপুরের বাসিন্দা শুভ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রায়ই গাড়ি নিয়ে কৈখালি যাই। নদীর ধারে সময় কাটানোর পাশাপাশি গাছ ঘেরা ওই রাস্তা দিয়ে যেতেও ভীষণ ভাল লাগত। গাছগুলো না থাকলে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার আনন্দটাই থাকবে না। পাশাপাশি এত গাছ কাটা মানে তো পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি।’’ পরিবেশের ক্ষতির কথা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। জামতলা এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘ইতিমধ্যে অনেক গাছ কাটা পড়ছে। শুনছি আরও হবে। রাস্তা চওড়া হচ্ছে ভাল কথা। কিন্তু এত গাছ কাটা হলে পরিবেশের যে ক্ষতি হবে, সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ভাবনাচিন্তা করা উচিত।’’ বনদফতরের এক আধিকারিক জানান, উন্নয়নমূলক কাজে প্রচুর গাছ কাটা পড়লে পরিবেশের ক্ষতি মেরামত করতে সাধারণত অন্যত্র নতুন গাছ বসানো হয়। কিছু ক্ষেত্রে সম্ভব হলে গাছগুলিকে আমূল তুলে অন্য জায়গায় বসিয়ে দেওয়াও হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দু’টোর কোনওটাই হচ্ছে না বলে অভিযোগ কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির পর্যটন ও বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ দিবাকর নস্করের। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তা দরকার। কিন্তু তার জন্য নির্বিচারে এতগুলি গাছ কাটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। গাছগুলিকে তুলে অন্যত্র বসানো বা কাটা গাছগুলির পরিবর্তে নতুন গাছ বসিয়ে এই ক্ষতিপূরণ করতে হবে।’’ কিন্তু যাঁরা রাস্তার কাজ করছে, সেই পূর্ত দফতরের তরফে এরকম কোনও উদ্যোগই নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পূর্ত দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এবং বনদফতরের কাছে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান দিবাকরবাবু।পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, বন দফতরের স্থানীয় শাখার সঙ্গে কথা বলেই গাছা কাটার কাজ শুরু হয়েছে। এক আধিকারির বলেন, ‘‘রাস্তার কাজের জন্য কিছু গাছ কাটা পড়ছে। আমরা বনদফতরকে চিঠি দিয়েছি। অনলাইনে আবেদনও করেছি। গাছ কাটার পরিপ্রেক্ষিতে যদি কিছু করতে হয়, বনদফতরের সঙ্গে কথা বলে সেটাও করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Deforestation Kultali কুলতলি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE