তারের-জাল: গোবরডাঙা রেল বাজারে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেরোসিন, মবিল। একাধিক খাবারের দোকান, রেস্তোঁরায় উনুন, গ্যাসের ওভেনে খাবার তৈরি হচ্ছে। এ দিকে, আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি বাজার পর্যন্ত ঢোকার মতো চওড়া নয় রাস্তা। সমস্যা আছে আরও।
বাজারের মধ্যে বিপজ্জনক ভাবে ঝোলে বিদ্যুতের তার। দোকানের উপর দিয়ে গিয়েছে হাইটেনশন লাইন।
গোবরডাঙা রেল বাজারের এই পরিস্থিতি নিয়ে বুক দুরুদুরু ব্যবসায়ীদের অনেকের। বাগড়ি মার্কেটের ঘটনার পরে সেই শঙ্কা আরও বেড়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে একবার এই বাজারে আগুন লেগেছিল। তাতে বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়।
পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন, বাজারটির পরিকাঠামোর উন্নতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আগুন নেভানোর পরিকাঠামো বাড়াতে শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বৈঠক করে পদক্ষেপ করা হবে।’’
বাজারটি বহু পুরনো। ঢোকার গলি এমনিতেই খুব বেশি চওড়া নয়। তার মধ্যে দোকানের মালপত্র বাইরে রাস্তার উপরে চলে আসে। বেশ কিছু দোকানের ছাউনি আবার রাস্তার উপরেই এসে পড়েছে। সাইকেল, বাইক সার দিয়ে দাঁড় করানো থাকে। আনাজের দোকানের উপরে পলিথিন ছাউনি।
ছবি: সুজিত দুয়ারি জয়নগর মিত্রগঞ্জ বাজার।
আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি বাজারের মধ্যে পুরোপুরি ঢুকতে পারবে না বলে জানালেন অনেকেই। স্থানীয় সিপিএম নেতা শঙ্কর নন্দী বলেন, ‘‘বাজারে ঢোকার রাস্তাগুলি এতটাই ঘিঞ্জি, আগুন লাগলে দমকলের গাড়িকে বাজারের পাশে গোবরডাঙা-পাঁচপোতা সড়কে রাখতে হবে। সেখান থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টাকরতে হবে। ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।’’ রেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডুও মানছেন, বাজারে আগুন নেভানোর নিজস্ব কোনও ব্যবস্থা নেই।
দমকলের গোবরডাঙা শাখার এক অফিসার শুভময় মোদক বলেন, ‘‘রেল বাজারে গাড়ি নিয়ে ঢোকে করা যায় না। বাজারে যদি পাম্প ও খোলা জলের ব্যবস্থা রাখা যায়, তা হলে ভাল।’’ দমকলের মতে, ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময়ে ব্যবসায়ীদের অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখাটা বাধ্যতামূলক করতে পারে পুরসভা। তাতেবিপদ কিছুটা হলেও এড়়ানো যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy